—প্রতীকী চিত্র।
সিবিআই তাঁকে তলব করেছিল। একটি দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের ডাক বিভাগের কর্তাকে। সিবিআইয়ের সেই জেরার পর বাড়ি ফিরেই আত্মঘাতী হলেন তিনি। যাওয়ার আগে লিখে গেলেন সুইসাইড নোট। সেখানে নিজের দফতরের বেশ কয়েক জন কর্মীর নামও লিখে গিয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে সরাসরি হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন ওই ব্যক্তি।
উত্তরপ্রদেশ সরকারের ডাক বিভাগে কর্মরত ছিলেন টিপি সিংহ। তিনি বুন্দেলশহরের এক পোস্ট অফিসের সুপারিন্টেন্ডেন্ট পদে ছিলেন। একটি দুর্নীতি মামলায় তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। টানা বেশ কয়েক ঘণ্টা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বুধবার সেখান থেকে আলিগড়ে নিজের বাড়িতে ফিরেছিলেন তিনি। তার পরেই আত্মহত্যা করেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
মৃত্যুর আগে একটি চিঠি লিখেছেন ওই ব্যক্তি। তবে হাতে লেখা নয়। মোবাইলে লিখে একাধিক হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপে চিঠিটি পাঠিয়ে দেন তিনি। কর্মক্ষেত্রে হেনস্থার অভিযোগ তোলা হয়েছে ওই চিঠিতে। অভিযোগ, সহকর্মীরা তাঁকে হেনস্থা করতেন। কয়েক জন সহকর্মীর নামও তিনি লিখে গিয়েছেন। তাঁর উপর নানা কারণে চাপ সৃষ্টি করা হত। চিঠিতে আলিগড়ের পুলিশ প্রধানের কাছে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আর্জিও জানিয়ে গিয়েছেন তিনি।
মৃত্যুর জন্য সরাসরি কয়েক জন সহকর্মীকে দায়ী করেছেন ওই ব্যক্তি। জানিয়েছেন, তাঁদের ‘অত্যাচারে’ তিনি অতিষ্ঠ। সহকর্মীদের শাস্তি চেয়েছেন সুইসাইড লেটারে।
সম্প্রতি ওই পোস্ট অফিসেই সিবিআই হানা দিয়েছিল। বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়। সুপারিন্টেন্ডেন্টকেও সেই সূত্রে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ভোর ৪টে পর্যন্ত তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। অনেকে বলছেন, সিবিআই হানার পর হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। সেই থেকেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy