Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪

চুক্তির বালিকা বধূর মৃত্যু, ধৃত পুলিশ

অসম পুলিশের কনস্টেবল হজরত আলি জানত, সামাজিক ভাবে নাবালিকাকে বিয়ে করলে চাকরি নিয়ে টানাটানি হবে। আইনের রক্ষক হজরত তাই খুঁজে বার করে আইনের ফাঁক গলে বেরনোর পথ। চুক্তির বিয়ে!

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৮ ০৩:২২
Share: Save:

চুক্তিতে ‘বিয়ে’ করা কিশোরীর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে গ্রেফতার হল পুলিশের এক কনস্টেবল ও তার বাবা-মা।

অসম পুলিশের কনস্টেবল হজরত আলি জানত, সামাজিক ভাবে নাবালিকাকে বিয়ে করলে চাকরি নিয়ে টানাটানি হবে। আইনের রক্ষক হজরত তাই খুঁজে বার করে আইনের ফাঁক গলে বেরনোর পথ। চুক্তির বিয়ে! মেয়ের পরিবার ও ছেলের পরিবার স্ট্যাম্প পেপারে চুক্তি করে, যে ওই কিশোরী আইনত হজরতের স্ত্রী। প্রাপ্তবয়স্ক হলে তারা একসঙ্গে থাকতে শুরু করবে। গত শুক্রবার হজরতের বাড়িতে ওই কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ মেলে। অভিযোগ, ‘স্বামী’র বাড়িতে তাঁকে শ্বাসরোধ করে মারা হয়েছে। অভিযুক্ত কনস্টেবল ও তার বাবা-মাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধুবুড়ি ও কোকরাঝাড়ের ঘটনা।

পুলিশ জানাচ্ছে, ২৫ বছরের হজরত অসম পুলিশের ২০ নম্বর রিজার্ভ ব্যাটেলিয়নে কর্মরত। তার সঙ্গে এক নাবালিকার বিয়ে ঠিক হয়। মেয়েটির বাড়ির অভিযোগ, ছুটিতে বাড়ি এলেই হজরত মেয়েটিকে বাড়িতে নিয়ে যেত। সে ভাবেই গত ১৫ মার্চ ওই কিশোরীকে বাড়ি নিয়ে যায় হজরত। পরের দিন খবর দেওয়া হয় মেয়ে গলায় দড়ি দিয়েছে। এসপি রাজেন সিংহ জানান, ওই কনস্টেবল ও তার পরিবার কিশোরীর উপরে নির্যাতন চালাত বলে জানা গিয়েছে। সম্ভবত তার জেরেই ওই নাবালিকা আত্মহত্যার রাস্তা বেছে নিয়েছিল।

মানবাধিকার সংগঠনগুলির দাবি, মেয়েটির বাবা-মাও সমান দোষী। নামনি অসমের সংখ্যালঘু এলাকাগুলিতে এ ধরনের এফিডেভিট করে নাবালিকাদের বিয়ে ঠিক করার ঘটনা হামেশাই ঘটছে। আইনজীবী আমন ওয়াদুদ বলেন, “বেশ কিছু আইনজীবী এই ধরনের অসাধু চক্র চালাচ্ছেন। তাঁরা টাকার বিনিময়ে বিয়ের চুক্তিপত্র তৈরি করে, আদালত থেকে আধ ঘণ্টার মধ্যেই নোটারি করে দুই পরিবারের হাতে তুলে দিচ্ছেন। স্বল্পশিক্ষিত পরিবারগুলিকে বোঝানো হচ্ছে আইন মেনে বিয়ে হয়ে গেল। কিন্তু আদালতে ওই চুক্তিপত্রের কোনও বৈধতাই নেই।”

অন্য বিষয়গুলি:

Hanging Body minor wife Police Constable
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE