অযোধ্যায় রামলালার বিগ্রহে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ হয়েছে সোমবার। ‘প্রধান যজমান’ হিসাবে পুজোয় অংশ নেন মোদী। তার পর ভক্ত এবং আমন্ত্রিতদের সামনে বক্তব্য রাখতে উঠে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি। জানান যে, তাঁর অনেক কিছু বলার থাকলেও কণ্ঠ অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছে। মন্দির উদ্বোধনের পরের দিনও রামমন্দির নিয়ে বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বার্তাতেও রইল ‘আবেগে’র ছোঁয়া।
মঙ্গলবার নিজের এক্স হ্যান্ডলে ৩ মিনিট ৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন মোদী। সেই ভিডিয়োয় সোমবার মন্দির উদ্বোধনের একাধিক মুহূর্তের ছবি রয়েছে। ভিডিয়োর প্রথমেই দেখা যায়, পুজোর সামগ্রী নিয়ে মন্দিরে ঢুকছেন প্রধানমন্ত্রী। তার পর দেখা যায়, আবেগে চোখের জল মুছছেন ভক্তদের একাংশ। প্রধানমন্ত্রী রামলালাকে আরতি করছেন, এই দৃশ্যও রয়েছে ওই ভিডিয়োয়। মোদীর বক্তব্যের একাংশও ছিল ভিডিয়োটিতে। ভিডিয়োটি পোস্ট করে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “আমরা ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় যা দেখলাম, তা আমাদের স্মৃতিতে আজীবন রয়ে যাবে।”
What we saw in Ayodhya yesterday, 22nd January, will be etched in our memories for years to come. pic.twitter.com/8SXnFGnyWg
— Narendra Modi (@narendramodi) January 23, 2024
মঙ্গলবার সকালেই সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় রামমন্দিরের দরজা। তবে তার অনেক আগে থেকেই রামলালাকে চাক্ষুষ করতে মন্দির চত্বরে ভক্তদের লম্বা লাইন পড়ে। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর একটি ভিডিয়োয় দেখা যায়, ভোর ৩টের সময় বিপুল সংখ্যক ভক্ত মন্দিরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। ভিড় সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে নিরাপত্তা আধিকারিকদের। কে আগে মন্দিরে ঢুকবেন, তা-ই নিয়ে ভক্তদের একাংশের মধ্যে রীতিমতো ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। হাতে পুজোর সামগ্রী নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় অনেককে। অনেকে হাতে পতাকা নিয়ে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিতে দিতে মন্দির চত্বরে প্রবেশ করেন।
আরও পড়ুন:
মন্দির উন্নয়ন এবং দেখভালের দায়িত্বে থাকা শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, সকাল ৭টা থেকে সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত রামমন্দির খোলা থাকবে। মাঝে আড়াই ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর মন্দির ফের খুলবে দুপুর ২টোয়। আবার সন্ধ্যা ৭টায় বন্ধ হবে মন্দিরের দরজা।