বাঁ দিক থেকে নরেন্দ্র মোদী, নীতীশ কুমার। — ফাইল চিত্র।
নবম বার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে রবিবার শপথ নিয়েছেন নীতীশ কুমার। তার কিছু ক্ষণ পরেই এক্স (সাবেক টুইটার)-এ তাঁকে এবং বিহারে নতুন ‘দল’-কে অভিনন্দন জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিহারে উপমুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন বিজেপির সম্রাট চৌধুরী এবং বিজয় সিংহ। তাঁদেরও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
মোদী এক্সে লিখেছেন, ‘‘বিহারে যে নতুন এনডিএ সরকার গঠিত হয়েছে, তা রাজ্যের উন্নয়ন এবং মানুষের আশা পূরণের জন্য কোনও কসুর রাখবে না।’’ এর পর প্রধানমন্ত্রী নীতীশকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য নীতীশজি, আপনাকে অভিনন্দন। সম্রাট চৌধুরী, বিজয় সিংহকে উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য অভিনন্দন।’’ তিনি নতুন এই দলের প্রতি আস্থাও প্রকাশ করেছেন। লিখেছেন, ‘‘আমি আত্মবিশ্বাসী যে, নতুন এই দল এই রাজ্যে আমার পরিবারের সদস্যদের সেবায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।’’
মোদীর এই শুভেচ্ছা বার্তার জবাবে এক্স হ্যান্ডলে একটি জবাবী পোস্ট লিখেছেন বিহারের নতুন এনডিএ জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশও। তিনি লেখেন, ‘‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর শুভেচ্ছা বার্তা এবং অভিনন্দন বার্তার জন্য ধন্যবাদ জানাই। আমি সমগ্র বিহারবাসীর হয়ে আপনাকে আপনার সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই। বিহারে এনডিএ গঠবন্ধনের নতুন সরকার গঠন হয়ে গিয়েছে। আমি মনে করি জনতাই আমাদের প্রভু এবং তাঁদের সেবা করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। এনডিএ-র সঙ্গে জোট বদ্ধ সরকার সেই সেবা করতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস। কেন্দ্র এবং রাজ্যে একই দল ক্ষমতায় থাকলে রাজ্য়বাসীরও উন্নতি হবে।’’
এই নিয়ে চার বার বিজেপির হাত ধরে বিহারে মুখ্যমন্ত্রী হলেন নীতীশ। সেই নিয়ে বিরোধীদের তীব্র কটাক্ষ ধেয়ে এসেছে। যে ‘মহাগটবন্ধন’ ছাড়লেন নীতীশ, তার শরিক দলের নেতা, তথা প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবও একহাত নিয়েছেন নীতীশকে। জানিয়েছেন, ২০২৪ সালে জেডিইউ ‘নির্মূল’ হয়ে যাবে। নীতীশকে ‘ক্লান্ত মুখ্যমন্ত্রী’-ও বলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণের পরেই তেজস্বীকে একহাত নিয়ে নীতীশ বলেন, ‘‘বিহারের উন্নয়নের জন্য কাজ করছি। সেটাই করে যাব। অন্য কিছু নয়। তেজস্বী কিছুই করত না।’’ ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর আবার মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, এই বিজেপিই বলেছিল, নীতীশের জন্য তাদের দরজা চিরতরে বন্ধ হয়েছে। এখন আবার তাদের হাত ধরেছেন নীতীশ। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী যদিও জানিয়েছেন, পরিস্থিতি ভাল ছিল না। সহকর্মীদের পরামর্শেই ‘মহাগঠবন্ধন’ ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy