বাংলাদেশি সন্দেহে গুজরাত পুলিশের হাতে আটক পশ্চিমবঙ্গের তিন যুবক। তাঁদের দু’জনের বাড়ি বীরভূম এবং এক জন পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা। পরিবারের দাবি, সমস্ত নথিপত্র থাকা সত্ত্বেও তিন জনকে আটক করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যের পুলিশ। তার পর থেকে আর যোগাযোগ করা যাচ্ছে না তিন জনের সঙ্গে। এ বিষয়ে ‘দিদিকে বলো’-তে ফোন করে অভিযোগ জানিয়েছে তারা।
গত শনিবার ভোরে অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশি সন্দেহে প্রায় সাড়ে ৫০০ লোককে আটক করে গুজরাত পুলিশ। গ্রেফতার হন অন্তত ১০০ জন। কিন্তু ভুল করে বাংলার তিন যুবককে আটক করা হয়েছে বলে দাবি তাঁদের পরিবারের। এমনকি, আটক হওয়া তিন জনকে ছাড়া হয়েছে কি না, খবর পায়নি তাঁদের পরিবার।
বীরভূম জেলার লাভপুর থানার কুসুমগড়িয়া গ্রামের দুই যুবক সুলতান মল্লিক ও শেখ আতাউর রহমান এবং পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলি থানার বাসিন্দা কামারুজামান মল্লিক সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সুলতান ও আতাউর দীর্ঘ আট বছর ধরে গুজরাতের সুরাতের রামনগরে একটি কাপড়ের কারখানায় কাজ করছিলেন। বর্ধমানের কামারুজ্জামানও সেখানে কাজ করছেন এক বছর ধরে। কিন্তু গত শনিবার ভোরে গুজরাত পুলিশের একটি দল তাঁদের ঘর থেকে তিন জনকে আটক করে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন:
পরিবারের দাবি, গত চার দিন ধরে আটক থাকার পরেও গুজরাত পুলিশের থেকে কোনও রকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। সমস্ত কাগজপত্র গুজরাত পুলিশের কাছে পাঠানো হয়েছে। তার পরেও কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই ‘দিদিকে বলো’ হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে সাহায্য চান তিন যুবকের পরিবারের সদস্যেরা। প্রশাসনের কাছে তাঁদের আর্জি, মিথ্যা অভিযোগে আটক হওয়া যুবকদের শীঘ্রই ছেড়ে দেওয়া হোক এবং তাঁদের বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হোক সরকার।