ভারতের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য পাকিস্তান সেনাকে অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম দেওয়ার ‘খবর’ অস্বীকার করল তুরস্ক। সে দেশের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইপ এর্ডোয়ানের সরকার মঙ্গলবার জানিয়েছে, তাদের একটি বিমান জ্বালানি ভরার উদ্দেশ্যে পাকিস্তানের বিমানবন্দরে নেমেছিল।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, তুরস্কের হারকিউলিস-১৩০ পরিবহণ বিমান অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম নিয়ে ২৭ এপ্রিল পাকিস্তানে গিয়েছিল। কিন্তু সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে ইস্তানবুল। সরকারি এক্স পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘‘এমন দাবির কোনও সত্যতা নেই।’’ ইউরোপের মুসলিম রাষ্ট্র তুরস্ক অতীতে পাকিস্তানকে বিভিন্ন ভাবে সামরিক সাহায্য করেছে। তাই ইস্তানবুলের দাবি, সত্যি কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে যথেষ্টই।
আরও পড়ুন:
তুরস্ক ‘এশিয়া নিউ ইনিশিয়েটিভ’-এর মঞ্চ গড়ে ভারতের প্রতিবেশী ইসলামি রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে কট্টরবাদের সেতু রচনা করে সম্পর্ক শক্তিশালী করেছে বলে অভিযোগ। তারা যে অস্ত্র সরবরাহ করে পাকিস্তানকে, তা কার্যকরী তো বটেই। উপরন্তু সেগুলির একাংশ সন্ত্রাসবাদের জন্যই বিশেষ ভাবে তৈরি করা বলে সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মত। ঘটনাচক্রে, তুরস্ক সরকার পহেলগাঁও সন্ত্রাসের পরেই নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ উত্তেজনা প্রশমনের বার্তা দিয়েছে দু’পক্ষকে। প্রেসিডেন্ট এর্ডোয়ান বলেন, ‘‘পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নেওয়ার আগেই তুরস্ক দ্রুত পাকিস্তান এবং ভারতের মধ্যে উত্তেজনার অবসান চায়।’’
- সংঘর্ষবিরতিতে রাজি ভারত এবং পাকিস্তান। গত ১০ মে প্রথম এই বিষয় জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে দুই দেশের সরকারের তরফেও সংঘর্ষবিরতির কথা জানানো হয়।
- সংঘর্ষবিরতি ঘোষণার পরেও ১০ মে রাতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গোলাবর্ষণের অভিযোগ ওঠে। পাল্টা জবাব দেয় ভারতও। ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। তবে ১১ মে সকাল থেকে ভারত-পাক সীমান্তবর্তী এলাকার ছবি পাল্টেছে।
-
‘ওই জঘন্য গোষ্ঠীকে দেশ থেকে সরান’, পাক প্রতিনিধিদলকে পরামর্শ আমেরিকার, সংখ্যালঘু সুরক্ষা নিয়েও আলোচনা
-
কাশ্মীরি পণ্ডিতেরা ঘরে ফেরেন জ্যৈষ্ঠের অষ্টমীতে, ক্ষীর ভবানীর পুজোয় সম্প্রীতির বার্তা
-
‘সিঁদুর’ অভিযানের পর কর্মীদের ছুটি বাতিলের নির্দেশ অবশেষে প্রত্যাহার! নতুন বিজ্ঞপ্তি রাজ্যের
-
কাশ্মীর সমস্যার দ্রুত সমাধান দরকার, এর পর আর কেউ মধ্যস্থতার সময় পাবে না, দাবি পাক সেনাকর্তার
-
বিষয় ‘অপারেশন সিঁদুর’! প্রবন্ধ লিখে মিলবে আর্থিক পুরস্কার, সঙ্গে লালকেল্লায় যাওয়ার সুযোগও