চিত্রনাট্য বদলে দিয়ে জীবনের গল্প নিজেই লিখলেন অভিষেক বসু। পর্দার নায়িকাকে নয়, খলনায়িকাকে বেছে নিলেন জীবনসঙ্গিনী। ‘ফুলকি’ ধারাবাহিকের নায়ক মঙ্গলবার সাতপাকে বাঁধা পড়লেন শার্লি মোদকের সঙ্গে। শার্লি একই ধারাবাহিকের দাপুটে খলনায়িকা ‘শালিনী’! পর্দায় যতই একে অন্যের শত্রু হোন, বাস্তবে নাকি গাঢ় রসায়ন ছিল দু’জনের। কাকতালীয় ভাবে শার্লি ধারাবাহিকে অভিষেকের প্রাক্তন স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করছেন!
আনুষ্ঠানিক নয়, ছিমছাম আইনি বিয়ে সেরেছেন তাঁরা। দুই পরিবারের সদস্য, ঘনিষ্ঠ কয়েক জন বন্ধু এবং টিম ‘ফুলকি’র উপস্থিতিতে কাগজেকলমে বিয়ে হয় তাঁদের। আনন্দবাজার ডট কমকে এ খবর জানিয়েছেন একই ধারাবাহিকে তাঁদের সহ-অভিনেতা সুদীপ সরকার।

সকালের বৃদ্ধির ছবি। ছবি: সংগৃহীত।
মঙ্গলবার সকাল থেকে ধারাবাহিকের বাকি সদস্যরা যখন ব্যস্ত শুটিংয়ে তখন বিয়ের আচার পালনে ব্যস্ত অভিষেক-শার্লি। যদিও গায়েহলুদ বা অন্যান্য অনুষ্ঠানের ছবি তাঁরা সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নেননি। জানা গিয়েছে, সকালে একই সঙ্গে দধিমঙ্গল, বৃদ্ধি সারেন তাঁরা। সেই সময়ে ময়ূরকণ্ঠী বেগুনি পাঞ্জাবি-ধুতিতে সেজেছিলেন অভিষেক। নরম গোলাপি শিফন-জর্জেটের শাড়িতে সিক্যুইনের কাজ। সঙ্গে মানানসই গয়নায় সেজে ওঠা শার্লির উপর থেকে নাকি চোখ ফেরানো দায়। সন্ধ্যায় ধূসররঙা সিক্যুইনের কাজ করা লহেঙ্গা-চোলিতে নিজেকে সাজান নববধূ। বর একই রঙের শেরওয়ানি বেছে নিয়েছেন।
আরও পড়ুন:
শুটিং সেরে তাঁদের বিয়েতে উপস্থিত হন ধারাবাহিকের নায়িকা ‘ফুলকি’ ওরফে দিব্যাণী মণ্ডল, মিসমী দাস, সস্ত্রীক সুদীপ-সহ টিমের প্রায় সমস্ত সদস্য। সুদীপ জানিয়েছেন, দক্ষিণ কলকাতার এক ব্যাঙ্কোয়েটে তাঁরা বিয়ের অনুষ্ঠান সারেন। ফুল দিয়ে সাজানো বিয়ের আসর। সেখানেই ছিল ভূরিভোজের আয়োজন।
এ দিনের মেনুতে কী কী ছিল? লাচ্ছা পরোটা, পাঁঠার মাংস, চিনা খাবার, পনির, মাছ ছাড়াও ছিল বেকড রসগোল্লা, আইসক্রিম।
ক্যামেরার নেপথ্যের বন্ধুত্ব বাইরে কখনওই প্রকাশ করেননি অভিষেক। বরং যখনই তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে কিছু রটেছে, অভিষেক-শার্লি অস্বীকার করে গিয়েছেন। তাঁরা যে সাতপাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন সে খবর প্রথম জানা যায় সোমবার। খবর প্রকাশ্যে আনে আনন্দবাজার ডট কম। টিম ‘ফুলকি’ ওই দিন এক সঙ্গে আইবুড়ো ভাত খাওয়ায় উভয়কে।