বাঁশির পর ড্রাম। মঙ্গলবার টোকিওয় এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই
সুভাষচন্দ্র বসুর অন্তর্ধান রহস্যকে ঘিরে বিতর্ক এড়িয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জাপানে প্রধানমন্ত্রী মোদীর পাঁচ দিনের সফরের মধ্যে রেনকোজি মন্দিরে যাওয়ার কোনও কর্মসূচি নেই। এই মন্দিরে রাখা চিতাভস্ম নেতাজির কি না, তা নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিনের। তবে অতীতে অটলবিহারী বাজপেয়ী জাপান সফরের সময় এই মন্দিরে গিয়েছিলেন। তাঁর এনডিএ সরকারের নিয়োগ করা মুখোপাধ্যায় কমিশনের রিপোর্টেই বলা হয়েছিল, রেনকোজি মন্দিরে রাখা চিতাভস্ম নেতাজির নয়। এই পরিস্থিতিতে জাপান সফরে এসে রেনকোজি মন্দিরে পা না রেখে নেতাজির মৃৃত্যুর বিষয়ে বিতর্ক এড়িয়ে গেলেন মোদী।
ভারত-জাপান অ্যাসোসিয়েশনের একটি অনুষ্ঠানে এসে সুভাষচন্দ্র বসুর কথা বললেন। জানিয়ে দেন, জাপানে এমন মানুষেরা আজও আছেন, যাঁরা বসুকে চিনতেন। তাঁকে ঘিরে এই মানুষদের অনেক স্মৃতি আছে। এঁদের কথাবার্তা রেকর্ড করতে ভারত সরকার জাপানে পেশাদার ভিডিওগ্রাফারদের নিয়োগ করবে। জাপানের ভারতীয় রাষ্ট্রদূত দীপা গোপালন ওয়াধওয়াকে এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সুভাষচন্দ্রকে মোদী সরকার ‘ভারতরত্ন” সম্মান দেওয়ার পরিকল্পনা নিচ্ছে, কিছু দিন আগে সংবাদমাধ্যমে এমন খবর প্রচার হতেই দেশে বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছিল। মৃত্যু নিয়ে বিতর্কের ভিতরে তাঁকে মরণোত্তর সম্মান কী ভাবে দেওয়া হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় শেষ পর্যন্ত অবশ্য এই বিষয়ে এগোয়নি মোদী সরকার। জাপান সফরে সেই ভাবনারই প্রকাশ ঘটল। সফরের চতুর্থ দিনে বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রীর রসিকতা, খোলামেলা মেজাজে কথাবার্তা সেখানকার ভারতীয় ও উপস্থিত শ্রোতাদের মাতিয়ে দিয়েছে। টোকিওতে একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেজাজে ঢোল বাজিয়েছেন মোদী। জাপানে গিয়ে এ বার সে দেশের রাজাকে গীতা উপহার দিয়েছেন। আর তা নিয়েই একটি অনুষ্ঠানে রসিকতা করতে দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। তাঁর মন্তব্য, “গীতা উপহার দেওয়া নিয়ে ভারতে কী হবে, জানি না। হয়তো টেলিভিশনে বিতর্ক হবে। আমার ধর্মনিরপেক্ষ বন্ধুরা তুফান তুলবেন!”
এ দিন ভারতীয় দূতাবাসের ভিতরে অনুষ্ঠানের আগে নিরাপত্তার বেড়া ভেঙে উপস্থিত ভারতীয়দের মধ্যে হাজির হন মোদী। তাঁর সঙ্গে হাত মেলানোর জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। এখানেই প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তিত ভারতের ভাবনাকে তুলে ধরেন। বলেন, “আগে সাপ নিয়ে খেলত ভারতের মানুষ। এখন মাউস নিয়ে খেলে। আর আমরা মাউস ঘোরালে দুনিয়াটাও ঘুরে যায়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy