Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

বাস ঠেলে ২ যুবককে উদ্ধার করলেন পুণের পথচারীরা

দিন কয়েক আগে পারথ করে দেখিয়েছিল। এ বার সেটাই করে দেখাল পুণে। একটি বিশালাকার বাসের তলায় চলে গিয়েছিলেন মোটরবাইক আরোহী দুই যুবক। পথচারীরা বাস ঠেলে তুলে উদ্ধার করেন আহত যুবকদের। তড়িঘড়ি তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। আপাতত হাসপাতালে সেরে উঠছেন তাঁরা। গত মাসে অস্ট্রেলিয়ার পারথের এক মেট্রো স্টেশনে ট্রেনের ফাঁকে পা আটকে গিয়েছিল এক যাত্রীর।

যুবকদের উদ্ধার করা হয় এ ভাবে। ছবি: টুইটারের সৌজন্যে।

যুবকদের উদ্ধার করা হয় এ ভাবে। ছবি: টুইটারের সৌজন্যে।

সংবাদ সংস্থা
পুণে শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:৪৪
Share: Save:

দিন কয়েক আগে পারথ করে দেখিয়েছিল। এ বার সেটাই করে দেখাল পুণে।

একটি বিশালাকার বাসের তলায় চলে গিয়েছিলেন মোটরবাইক আরোহী দুই যুবক। পথচারীরা বাস ঠেলে তুলে উদ্ধার করেন আহত যুবকদের। তড়িঘড়ি তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। আপাতত হাসপাতালে সেরে উঠছেন তাঁরা। গত মাসে অস্ট্রেলিয়ার পারথের এক মেট্রো স্টেশনে ট্রেনের ফাঁকে পা আটকে গিয়েছিল এক যাত্রীর। দমকলের জন্য অপেক্ষা না করে স্টেশনে উপস্থিত অন্য যাত্রীরাই ট্রেনটি ঠেলে তুলে ওই যাত্রীকে উদ্ধার করেন। প্রায় একই ঘটনা ঘটেছে পুণেতে।

ঘটনা গত শুক্রবারের। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পুণের জ্ঞানেশ্বর পাদুকা চকের কাছে সিগন্যালে দাঁড়িয়েছিলেন অশ্বিন ও সিদ্ধার্থ নামে ওই দুই ছাত্র। তাঁদের পাশে ছিল আরও কয়েকটি গাড়ি। পুণে মহানগর পরিবহণ মহামণ্ডল লিমিটেডের (পিএমপিএমএল) একটি বাস সিগন্যালের তোয়াক্কা না করে ওই দু’জনকে ধাক্কা মারে। চোখের নিমেষে ওই দুই ছাত্র মোটরবাইক-সহ বাসের তলায় চলে যান। সেই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত পথচারীরা ওই যুবকদের উদ্ধারে এগিয়ে আসেন। সবাই মিলে বাসটি তুলে ধরেন, দেখেন বেঁচে রয়েছেন দু’জন। সঙ্গে সঙ্গেই বার করে আনা হয় তাঁদের। পরে দমকল এসে বাসটিকে ক্রেনের সাহায্যে তুলে মোটরবাইকটি বার করে।

এর পর স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অশ্বিন ও সিদ্ধার্থকে। হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সিদ্ধার্থের চোট গুরুতর। তবে তাঁরা দু’জনেই বিপন্মুক্ত।

ওই দুই ছাত্রই পুণের বাসিন্দা নন। দু’জনে মডেল কলেজের কাছে একটি বোর্ডিংয়ে থাকেন। হাসপাতালের এক নার্স জানিয়েছেন, সিদ্ধার্থের ফুসফুস ও মাথায় আঘাত আছে। তবে তিনি কথাবার্তা শুরু করেছেন।

পিএমপিএমএল-এর বাসটিকে আটক করেছে পুলিশ। বাস চালকের বিরুদ্ধেও মামলাও শুরু হয়েছে। চালক মানিক ওয়াগমোরের অবশ্য দাবি, বাসটির ব্রেক ফেল করেছিল বলে তিনি নিয়ন্ত্রণ হারান। পুলিশের একটি সূত্র প্রাথমিক ভাবে এর সত্যতা স্বীকার করেছে। তবে তদন্ত শেষ না হলে এ বিষয়ে মুখ খুলছে না পুলিশ। ওয়াগমোরে ঘটনার সময় মত্ত অবস্থায় ছিলেন কি না, তা দেখার জন্য পরীক্ষাও হয়েছে। পিএমপিএমএল-এর মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকটি বাসের নিয়মিত পরীক্ষা হয়। এই ঘটনা কী ভাবে ঘটল, তা খতিয়ে দেখতে আলাদা করে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে পিএমপিএমএল।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE