নোট-বাতিলে চিন্তায় নেই পরেশ বরুয়া।
আলফা (স্বাধীন) সেনাধ্যক্ষের দাবি, তাদের কাছে কালো টাকা নেই। দুর্নীতি নেই সংগঠনেও। তা ছাড়া উত্তর-পূর্বের আম-জনতা রয়েছে তাদের পাশে। তাই কোনও সমস্যা হচ্ছে না। পরেশের বক্তব্য, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে বিপাকে ফেলতেই এমন পথে এগিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। সাধারণ মানুষ তা বুঝতে পারছে না। সংবাদমাধ্যমে ফোন করে তিনি আরও জানিয়েছেন, ভারতের পড়শি কোনও দেশে উত্তর-পূর্বের সমান্তরাল সরকার গড়বেন তাঁরা। গত কাল মণিপুরে সেনা জওয়ানদের উপর আক্রমণের দায় স্বীকার করে তিনি জানিয়েছেন, মণিপুরের সাতটি জঙ্গি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ ‘কোর-কম’ এ এবং ইউএনএলএফডব্লিউ হাত মিলিয়ে ওই হামলা চালিয়েছে।
পরেশ দাবি করেছেন, উত্তর-পূর্বের সব ‘বিপ্লবী সংগঠন’ একজোট হয়ে ভিনদেশের মাটিতে সমান্তরাল সরকার তৈরি করবে। সেখান থেকে ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে। ভুটান, বাংলাদেশে জঙ্গিঘাঁটি উৎখাতের পর এ বার মায়ানমারেও চাপে রয়েছে জঙ্গিরা। তা নিয়ে পরেশের বক্তব্য, “কোনও একটি দেশ আমাদের ঠিকই আশ্রয় দেবে। ভারত তো আর সকলকে পকেটে পুরতে পারবে না।”
গত বছর ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতি ভঙ্গের পর আলফা, কেএলও, এনডিএফবি, এনএলএফটির সঙ্গে হাত মিলিয়ে যৌথ জঙ্গি মঞ্চ ইউএনএলএফডব্লিউ গড়েছিলেন খাপলাং। পরে তাতে মেঘালয়ের জিএনএলএ ও মণিপুরের কেওয়াইকেএলও যোগ দেয়। কিন্তু মণিপুরের সাতটি জঙ্গি সংগঠনের যৌথমঞ্চ কোর-কম ওই শরিক অংশ হয়নি। তাদের মধ্যে আদর্শগত বিরোধ ছিল।
কিন্তু গত কাল চান্ডেলে সেনাবাহিনীর ২১ প্যারাকম্যান্ডো বাহিনীর উপরে হামলার দায় স্বীকার করে পরেশ জানান, কোর-কমের অন্যতম প্রধান শরিক পিএলএ ওই হামলা চালিয়েছে। তার মন্তব্য, “সকলই লড়ছে স্বাধীনতার জন্য। সবাই বুঝতে পেরেছে, আলাদা থাকলে হবে না। তাতে ভারতের লাভ। তাই সকলে একজোট হচ্ছে।”
আলফা স্বাধীনের সেনাধ্যক্ষ জানান, বিকল্প সরকার তৈরি করা হবেই। ভারত উত্তর-পূর্বের স্বাধীনতাকামী রাজ্যগুলির সঙ্গে কেমন ব্যবহার করছে, তা গোটা বিশ্ব জানে। দেশের বাইরে থেকেই তাই দিন বদলের চেষ্টা চালানো হবে।
এ দিকে পেঙেরিতে সেনা কনভয়ে আলফা হানায় নিহত কুমায়ুন রেজিমেন্টের জওয়ান নরপত সিংহের পরিবারকে ৯ লক্ষ টাকা অর্থসাহায্য করেছেন অভিনেতা অক্ষয়কুমার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy