রাঁচীতে নোট-সঙ্কটের ছবি আঁকল খুদেরা। রবিবার।—নিজস্ব চিত্র
পেনসিল-প্যাস্টেল-জলরং-তুলি নিয়ে আঁকতে এসে অবাক প্রতিযোগীরা।
আঁকার বিষয় যে একেবারে ‘সাজেশন’-এর বাইরে। কারণ কাগজে ফুটিয়ে তুলতে হবে নোট-সঙ্কটের ছবি!
এটিএমে লাইন, নগদহীন লেনদেন বা সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের ছবি কী ভাবে আঁকবে, তা ভেবেই হয়রান খুদেরা। শেষে অবশ্য জিতল প্রতিযোগীদের কল্পনাই।
আজ সকালে রাঁচীর শতাব্দী প্রাচীন ইউনিয়ন ক্লাবে বার্ষিক ছবি আঁকা প্রতিযোগিতায় ঘটল এমনই কাণ্ড। উদ্যোক্তারা জানালেন, একেবারে ছোট্ট বাচ্চারা যেমন খুশি তেমন এঁকেছে। কিন্তু একটু বড়দের জন্য রাখা হয়েছিল নোট-বিভ্রাটই। প্রতিযোগিতা পরিচালনা করেন রাঁচীর বাঙালি শিল্পী প্রবীণ কর্মকার। তিনি বলেন, ‘‘দেড়মাস ধরে সারা দেশের পাশাপাশি রাঁচীতেও সব চেয়ে আলোচিত বিষয় ছিল নোট বাতিলই। খুদেরা তা নিয়ে কী ভাবছে, সেটা জানতেই এমন বিষয় ভাবা হয়েছে। ওদের পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা কতটা, এতে তা স্পষ্ট হবে।’’
আঁকার পাতায় কেউ কেউ ফুটিয়ে তুলল মোবাইলে কেনাকাটার ছবি। কেউ দেখিয়েছে, ব্যবসায়ীর বাড়ির বিছানার নীচে কী ভাবে মিলেছে কালো টাকা। তবে সে সব কালো টাকার রং ছিল পুরনো পাঁচশোর নোটের মতোই। একতা কুমারী গুপ্তা নামে এক প্রতিযোগী বলে, ‘‘বিষয়টা খুব চ্যালেঞ্জিং। খবরের কাগজ পড়া আমার নেশা। তাই কোনও অসুবিধা হয়নি।’’
প্রবীণবাবু জানালেন, এটিএমের লাইনে অসুস্থ বৃদ্ধের মুখ এঁকেছে কোনও প্রতিযোগী। কেউ এঁকেছে এটিএমে ‘নো ক্যাশ’ বোর্ড দেখে হতাশ প্রৌঢ়াকে। প্রতিযোগিতায় সামিল দীপ্রা বন্দ্যোপাধ্যায় বলল, ‘‘কয়েক দিন আগে বাবার সঙ্গে আমিও এটিএমে লাইন দিয়েছিলাম। সেখানে যা দেখেছি, তাই আঁকার চেষ্টা করেছি।’’ এক ঘণ্টার সময়সীমা শেষ হওয়ার পর দেখা গেল, খুদেরা কল্পনাশক্তি দিয়ে এমন কিছু ছবি এঁকেছে যা দেখা যায়নি কোনও খবরের কাগজ বা টেলিভিশনের পর্দায়।
প্রবীণবাবু জানালেন, সাধারণ মানুষের সচেতনতা বাড়াতে পারে এমন কয়েকটি ছবি বেছে পোস্টার করার কথা ভাবছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy