Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Assam Aadhaar-NRC Controversy

এনআরসি-আবেদন না করলে মিলবে না আধার! হিমন্তের ঘোষণায় বিতর্ক, শঙ্কা কংগ্রেস, তৃণমূলের

লোকসভায় কংগ্রেসের সহকারী দলনেতা গৌরব গগৈ বলেন, ‘‘অসমে জাল কার্ডের মাধ্যমে ভুতুড়ে ভোটারদের নামে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ হচ্ছে। সরকারের টাকা লুট হচ্ছে। আর তা আড়াল করতেই নতুন বিতর্ক খুঁচিয়ে তোলা হচ্ছে।’’

Opposition slams Assam cabinet decision to link Aadhaar and NRC

গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:২২
Share: Save:

জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি)-র সঙ্গে আধার লিঙ্ক করানো বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সরকার। বৃহস্পতিবার সে রাজ্যের মন্ত্রিসভার বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত অনুমোদনের পরেই বিতর্ক ছড়িয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারতের বৃহত্তম রাজ্যে। কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ একাধিক বিরোধী দল বিজেপি সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছে।

লোকসভায় কংগ্রেসের সহকারী দলনেতা তথা অসম থেকে নির্বাচিত সাংসদ গৌরব গগৈ শুক্রবার বলেন, ‘‘জাল কার্ডের মাধ্যমে ভুতুড়ে ভোটারদের নামে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ হচ্ছে। সরকারের টাকা লুট হচ্ছে অসমে। আর তা আড়াল করতেই এখন নতুন করে আধারের সঙ্গে এনআরসিকে জুড়ে দিতে চাইছে হিমন্ত সরকার।’’ বাংলাদেশের পরিস্থিতির মধ্যে অসম সরকারের এই তৎপরতা নতুন অশান্তির অনুঘটক হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে অসম কংগ্রেস।

অন্য দিকে, অসমের তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যসভা সাংসদ সুস্মিতা দেব সরাসরি নিজের রাজ্যকে ‘ব্যানানা রিপাবলিক’ (পুঁজিপতিদের কব্জায় থাকা দেশ) বলেছেন। সমাজমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘‘ভারতের রেজিস্ট্রার জেনারেল (আরজিআই) এখনও এনআরসি নিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেননি। এমনকি, ভারতের নাগরিক নন এমন ব্যক্তি যদি ১২ মাসের মধ্যে ১৮২ দিন এ দেশে থাকেন, তবে তিনি আধার কার্ড পাওয়ার জন্য আবেদনের যোগ্য। যদি সরকার কোনও ব্যক্তিকে অবৈধ অভিবাসী ঘোষণা না-করে, তবে কী ভাবে তাঁর আধার আটকে দেওয়া যেতে পারে!’’

বিরোধীদের অভিযোগ, আইন বলছে, আধারের সঙ্গে নাগরিকত্বের কোনও সম্পর্ক নেই। আধার নিয়ে রাজ্যের হাতে কোনও ক্ষমতাও নেই। এমনকি, সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে যত ক্ষণ না আরজিআই স্বীকৃতি দিচ্ছে, তত ক্ষণ অসমের এনআরসি স্বীকৃতই নয়। কিন্তু শুক্রবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত জানান, তাঁর রাজ্যে আধারে অনুমোদন দেওয়ার আগে ঠিকানা-পরিচয় যাচাই করা হবে। দেখা হবে, আবেদনপত্রের সঙ্গেও এনআরসি আবেদনের নম্বর আছে কি না এবং আবেদনকারী বা তাঁর বাবা-মা এনআরসির জন্য আবেদন করেছিলেন কি না। রাজ্য সরকার ৪৫ দিনের মধ্যে আবেদনপত্র গ্রাহ্য বা অগ্রাহ্য হওয়ার বিষয়টি অনলাইনে জানাবে। পুরো প্রক্রিয়া নিয়ে তৈরি হবে রাজ্যের এসওপি। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার নিম্ন অসম এবং বরাক উপত্যকায় কয়েকটি নাগরিক সংগঠন বিজেপি সরকারের এই নীতির প্রতিবাদে সরব হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Aadhar NRC Assam Himanta Biswa Sarma Controversy
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy