বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম বিদেশি মুদ্রার ভান্ডার রয়েছে ভারতের হাতে। বর্তমানে এর পরিমাণ ৬৫ হাজার ৮৮০ কোটি ডলার। ফলে আগামী ১১ মাস পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না। নতুন আর্থিক বছরের (পড়ুন ২০২৫-’২৬) প্রথম দিনে রাজ্যসভায় এই তথ্য জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।
মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল সংসদে প্রশ্ন-উত্তর পর্বে রাজস্ব ঘাটতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিরোধী সাংসদদের একাংশ। এতে বিদেশি মুদ্রার ভান্ডারের উপর চাপ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তাঁরা। জবাবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা তাঁদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘‘আমাদের হাতে পর্যাপ্ত বিদেশি মুদ্রা রয়েছে। সেটা দিয়ে আগামী ১১ মাস পণ্য আমদানি করা যাবে।’’
উল্লেখ্য, গত কয়েক মাসে ডলারের নিরিখে টাকার দাম পড়ে যাওয়ায় বিদেশি মুদ্রা ভান্ডার যে কিছুটা কমেছে, তা অবশ্য রাজ্যসভার প্রশ্ন-উত্তর পর্বে স্বীকার করে নিয়েছেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সীতারমণ। এ ব্যাপারে ভারতের সামনে যে তিনটি দেশ রয়েছে তারা হল চিন, জাপান এবং সুইৎজ়ারল্যান্ড।
ভারতীয় মুদ্রার মূল্য হ্রাসের বিষয়ে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী বলেন, ‘‘গত কয়েক মাসে স্থানীয় মুদ্রা শক্তিশালী হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া এবং ব্রিটেন-সহ আরও বেশ কয়েকটি দেশের মুদ্রার মূল্য অনেকটা কমেছে।’’
ভারতীয় শেয়ার বাজারের সূচক ক্রমাগত নিম্নমুখী হওয়ার কারণ সংসদে ব্যাখ্যা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘বিদেশি বিনিয়োগকারীরা টাকা তুলে নেওয়ায় স্টকের দাম হু-হু করে পড়ে গিয়েছে। কিন্তু ধীরে ধীরে তাঁরা ফিরতে আসতে শুরু করেছেন।’’ বাজারে আগামী দিনে ফের ঊর্ধ্বমুখী হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন পঙ্কজ চৌধরি।