কবে শান্ত হবে পরিস্থিতি। জানে না কাশ্মীর। ফাইল চিত্র।
রাষ্ট্রপুঞ্জের রক্তচক্ষুকে মাথায় রেখে কাশ্মীরে এ বার জঙ্গি নিধনে নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানোর নির্দেশ দেওয়া হল। বিক্ষোভকারীদের হটাতে ছররা বন্দুক ব্যবহার না-করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে কেন্দ্র। আজ থেকেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের নীতি মেনে ফের দমননীতির পথে হাঁটার ইঙ্গিত দিলেও, ভারসাম্য রাখতে অভিযানের সময়ে মেপে পা ফেলতে চাইছে কেন্দ্র। তাই নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে প্রথম বৈঠকেই আজ অভিযানের সময়ে সাধারণ মানুষের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানোর জন্য কড়া নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল এম এন ভোরা।
আজ সকালে জম্মু-কাশ্মীরে রাজ্যপালের শাসনের মঞ্জুরি দেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। জম্মু-কাশ্মীরে শাসন বকলমে চলে আসে কেন্দ্রের হাতে। তার কিছু ক্ষণের রাজ্য পুলিশের ডিজি এস পি বৈদ্য বলে বসেন, ‘‘এ বার অভিযান চালানো আগের থেকে সোজা হবে।’’ কার্যত একই সুরে মুখ খুলেছেন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়ত। তাঁর কথায়, ‘‘অভিযান চলবে। আমাদের কোনও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের মুখোমুখি হতে হবে না।’’ পুলিশ প্রধান ও সেনাপ্রধান দু’জনেই অভিযানের জন্য রাজ্যপালের শাসনকে ইতিবাচক বোঝাতে চেয়েছেন দেখে প্রাক্তন সেনাপ্রধান বিক্রম সিংহ বলেন, ‘‘বোঝা যাচ্ছে অভিযান নিয়ে মেহবুবা সরকারের সঙ্গে কোথাও একটা তালমিলের অভাব ছিল।’’
উপত্যকায় আগামী এক বছরে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা না থাকায় প্রশাসনের শীর্ষ স্তরে পছন্দের লোক বসানো শুরু করছে কেন্দ্র। ছত্তীসগঢ়ের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব বি ভি আর সুব্রহ্মণ্যমকে কাশ্মীরের নতুন মুখ্যসচিব করেছে কেন্দ্র। আগের মুখ্যসচিব ব্যাস ও বিজয় কুমারকে রাজ্যপালের উপদেষ্টা করা হয়েছে।
ভারসাম্য রাখতে জঙ্গি নিকেশের পাশাপাশি প্রয়োজনে হুরিয়তের সঙ্গে আলোচনার উপর জোর দিয়েছেন বিজেপির রাম মাধব। তিনি বলেন, ‘‘আলোচনা চলবে। অভিযানও।’’ গত কালই উপত্যকার পরিস্থিতি নিয়ে দলের কাশ্মীর সংক্রান্ত কোর গ্রুপের প্রধান মনমোহন সিংহের সঙ্গে কথা বলেছিলেন রাহুল গাঁধী। আজ ওই কমিটি বৈঠকের পরে জানায়— শান্তি ফেরাতে বন্দুক নয়, কাশ্মীরি যুবকদের হাতে কলম ও চাকরি তুলে দিতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy