— প্রতীকী ছবি।
আইপিএসের বাসভবনে ‘ডিউটি’ ছিল ওড়িশা পুলিশের এক মহিলা হোমগার্ডের। চলন্ত ট্রেনের তলায় পড়ে দু’পা হারালেন তিনি। জানা গেল, আইপিএসের স্ত্রীর অত্যাচারে হতাশাগ্রস্ত হয়ে মহিলা হোমগার্ড আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। প্রাণ বেঁচেছে বটে, তবে হারিয়েছেন দুটি পা-ই।
ওড়িশার হোমগার্ডের ডিজি সুধাংশু সারেঙ্গিকে লেখা অভিযোগপত্রে ওই মহিলা হোমগার্ড অভিযোগ করেছেন, সিনিয়র ওই আইপিএস আধিকারিকের স্ত্রী ঘরের কাজ করা নিয়ে তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতেন। গায়েও হাত তুলতে দ্বিধা করতেন না। জানা গিয়েছে, মহিলা হোমগার্ড যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন, তাঁর স্বামী ওড়িশার উত্তর-মধ্য রেঞ্জের ডিআইজি ব্রিজেশকুমার রাই। যদিও তিনি যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর পাল্টা দাবি, মহিলা হোমগার্ড পারিবারিক কারণে হতাশাগ্রস্ত। অত্যাচারের অভিযোগ মিথ্যা। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগ ওঠার পরেই ব্রিজেশকুমারকে কটকের পুলিশ সদর দফতরে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। হোমগার্ডের ডিজি জানিয়েছেন, সমস্ত অভিযোগের তদন্ত হবে।
মহিলা হোমগার্ড গত ৪ অগস্টের অভিযোগে জানিয়েছেন, তিনি ওই আইপিএসের স্ত্রীর জামাকাপড় ধুয়েছিলেন। কিন্তু তাতে খুশি ছিলেন না আধিকারিকের পত্নী। তার পরেই হোমগার্ডকে মারধরের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় অপমানিত হয়ে মহিলা হোমগার্ড নিজেকে শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। একটি চলন্ত ট্রেনের নীচে ঝাঁপ দেন। কোনও ক্রমে প্রাণ বেঁচে যায় মহিলার। যদিও দু’টি পা-ই কেটে বাদ দিতে হয়। বর্তমানে কটকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
স্বামীর মৃত্যুর পর মহিলা বাড়িতে দুই মেয়ের সঙ্গে থাকেন। মেয়েদের দাবি, বাড়িতে এমন কোনও সমস্যা নেই যে, আত্মঘাতী হওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কর্মক্ষেত্রে অপমান সইতে না পেরেই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি বলে দাবি তাঁর মেয়েদের। প্রশাসন সূত্রে খবর, মহিলার চিকিৎসার সমস্ত দায়ভার বহন করবে রাজ্য সরকার। তিনি খানিক সুস্থ হলেই আধিকারিকরা তাঁর সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানা গিয়েছে। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy