নিউ ইয়র্ক থেকে ভারতে আত্মীয়-বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন প্রবাসী এক বাঙালি। ছিলেন করিমগঞ্জে। আচমকা নোট বাতিলের ঘোষণায় বিপাকে পড়লেন তিনি। সফরসূচি বদলে তড়িঘড়ি বাংলাদেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন নীলেন্দু চক্রবর্তী।
নীলেন্দুবাবুর জন্ম বাংলাদেশে। এখন তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা। করিমগঞ্জে ছড়িয়ে রয়েছে তাঁর আত্মীয়-স্বজন। ভেবেছিলেন করিমগঞ্জ ঘোরার পর ভারতের অন্য কয়েকটি জায়গায় ঘুরতে যাবেন। কিছু সময়ের জন্য গিয়েছিলেন আগরতলায়।
সমস্যার সূত্রপাত হয় ওই সময়েই। কালো টাকা উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আচমকা ৫০০ এবং ১ হাজার টাকার নোট বাতিল করার ঘোষণায় তাঁর সব পরিকল্পনা ভেস্তে গেল।
ভারতে পৌঁছনোর পর করিমগঞ্জের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কে মার্কিন ডলার ভাঙিয়ে ৫০০ এবং ১ হাজার টাকা নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কেন্দ্রের ঘোষণার পর সে সব টাকা বাতিল হওয়ায় বিপাকে পড়েন তিনি। পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে এ দিনই বাংলাদেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন নীলেন্দুবাবু। এ দিন দুপুরে সাংবাদিকদের তিনি জানান, আরও কিছু দিন এ দেশে থাকার ইচ্ছা থাকলেও, ভারতে ওই সব নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের জেরে তাঁর হাতে থাকা টাকা দিয়ে কিছু করতে পারছেন না। সেই কারণেই এই পদক্ষেপ করতে বাধ্য হচ্ছেন। কিন্তু ভারতীয় মুদ্রা ব্যাঙ্কে জমা দিতে গিয়েও সমস্যায় পড়েন তিনি। এ দিন মাত্র ৪ হাজার টাকা হাতে পান নীলেন্দুবাবু। বাকি টাকা অ্যাকাউন্টে জমা দিতে বলেন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এ দেশে কোনও অ্যাকাউন্ট নেই তাঁর। তাই ওই নোটগুলি নিয়ে কী করবেন, তা নিয়ে ধন্দে পড়েন প্রবাসী ওই বাঙালি। পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে এ দিনই বাংলাদেশে চলে যান নীলেন্দুবাবু।
এ দিকে অন্য জায়গাগুলির মতো করিমগঞ্জেও এ দিন ব্যাঙ্কে ব্যাঙ্কে গ্রাহকদের ভিড় উপচে পড়ে। লাইন সামলেছেন নিরাপত্তাকর্মীরা। কোনও কোনও ব্যাঙ্কে ১০০, ৫০ টাকার
নোট না থাকায় ১০ টাকার বান্ডিল দিয়ে গ্রাহকদের ৪ হাজার টাকা মেটানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy