Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪

পুরস্কার ফেরালেন অরুন্ধতী, কুন্দন, পাল্টা আক্রমণে মোদীপন্থীরা

অসহিষ্ণুতা ইস্যুতে এ বার স্পষ্ট বিভাজন দেশের বিদ্বজ্জনদের মধ্যে। এক দিকে পুরস্কার ফেরানোর তালিকায় যুক্ত হল অরুন্ধতী রায় আর কুন্দন শাহের নাম। একই দিনে পুরস্কার ফিরিয়ে দিলেন ২৪ জন পরিচালক।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৫ ১৬:১৩
Share: Save:

অসহিষ্ণুতা ইস্যুতে এ বার স্পষ্ট বিভাজন দেশের বিদ্বজ্জনদের মধ্যে। এক দিকে পুরস্কার ফেরানোর তালিকায় যুক্ত হল অরুন্ধতী রায় আর কুন্দন শাহের নাম। একই দিনে পুরস্কার ফিরিয়ে দিলেন ২৪ জন পরিচালক। অন্য দিকে বিবৃতি প্রকাশ করে সুশীল সমাজের একাংশ অভিযোগ করল, একের পর এক নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদী তথা বিজেপি’র সাফল্য রুখতে না পেরে ঘুর পথে প্রতিশোধ নিতে চাইছে বিরোধী দলগুলি। পুরস্কার ফেরানো বিদ্বজ্জনরা তাঁদেরই মুখ, দাবি মোদী-পন্থী বিদ্বৎদের।

বুকারজয়ী লেখিকা অরুন্ধতী রায় শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যের জন্য ১৯৮৯ সালে জাতীয় পুরস্কার পান। সেই পুরস্কারই ফিরিয়ে দেওয়ার কতা এ দিন ঘোষণা করলেন অরুন্ধতী রায়। তাঁর কথায়, দেশে যা চলছে তাকে ভুল করে ‘অসহিষ্ণুতা’ বলা হচ্ছে। একের পর এক ভয়ঙ্কর হত্যার ঘটনা যে ভাবে ঘটছে, তা ‘অসহিষ্ণুতা’র চেয়ে অনেক গভীর এবং মারাত্মক বিষয়, দাবি অরুন্ধতীর। পরিচালক কুন্দন শাহও ফিরিয়ে দিচ্ছেন জাতীয় পুরস্কার। তিনি ১৯৮৩ সালে শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পান। চলচ্চিত্র এবং নাম করা কিছু টিভি ধারাবাহিকের নির্মাতা কুন্দনের কথায়, ‘‘গভীর অন্ধকার দেশকে ঘিরে ধরছে। যা করার করতে হবে অন্ধকার আমাদের সম্পূর্ণ গ্রাস করার আগেই।’’

বৃহস্পতিবার অবশ্য এর বিপরীত ছবিও দেখা গিয়েছে। সংখ্যায় কম হলেও, বেশ কিছু বিদ্বজ্জন এ দিন এগিয়ে এসেছেন মোদী সরকারের সমর্থনে। লিখিত বিবৃতিতে সই করে তাঁরা পুরস্কার ফেরানো লেখক-সাহিত্যিকদের নিন্দা করেছেন। বিবৃতিতে যে ৩৬ জন সই করেছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনসের সভাপতি লোকেশ চন্দ্র, লেখক এস এল বীরাপ্পা, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য কপিল কপুর, কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এমেরিটাস তথা ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ হিস্টোরিক্যাল রিসার্চ-এর সদস্য দিলীপ কে চক্রবর্তী প্রমুখ। তাঁদের অভিযোগ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়েই পুরস্কার ফেরানোর হিড়িক দেখাচ্ছেন দেশের সুশীল সমাজের একাংশ। এঁদের ময়দানে নামানোর পিছনে কংগ্রেস, বাম দল এবং মাওবাদীরা রয়েছে। বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচনী সাফল্য কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না বিরোধী দলগুলি। তাই বিদ্বজ্জনদের একাংশকে ময়দানে নামিয়ে মোদী সরকারের গায়ে অসহিষ্ণুতার কালি লাগানোর চেষ্টা হচ্ছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE