রিটার্ন ফাইলের সময়সীমা এক বার পেরিয়ে গেলে সে বছরের আয়করে আর কোনও ছাড় পাওয়া যাবে না। এমনকী অসুস্থতা বা বিদেশ ভ্রমণের মতো অনিবার্য কারণে রিটার্ন ফাইল করতে দেরি হলেও সঞ্চয়ের পুরোটাই করযোগ্য আয়ের আওতায় পড়বে। গত কাল অরুণ জেটলি তাঁর বাজেট বক্তৃতায় এই নয়া নিয়মের কথা না বললেও আয়কর আইন সংশোধন করে অর্থ বিলের খুঁটিনাটির মধ্যে সেটি জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
বাজেটে মধ্যবিত্তদের কত সুবিধা দেওয়া হয়েছে, প্রচারের জন্য তার ফিরিস্তি মন্ত্রী ও বিজেপি নেতাদের হাতে আজ ধরিয়ে দিয়েছে মোদী সরকার। কিন্তু নয়া নিয়ম বুঝিয়ে দিচ্ছে, সেই ‘সুবিধা’ও শর্তসাপেক্ষ।
কেন্দ্রের বক্তব্য, চিকিৎসা ও যাতায়াতের খরচ বাবদ বিনা নথিতে আরও ৪০ হাজার টাকা করমুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। ফলে মধ্যবিত্তের আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা আড়াই লক্ষ টাকা থেকে বেড়ে ২ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা হল। মধ্যবিত্তদের বড় অংশ প্রবীণরা। তাঁদের সুদ বাবদ ৫০ হাজার টাকা আয় করমুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। ফলে বছরে ২ থেকে ১২ হাজার টাকা সাশ্রয় হবে। স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়াম বাবদ করমুক্ত আয় ৩০ থেকে ৫০ হাজার করা হয়েছে। তাতেও ১ থেকে ৬ হাজার টাকা সাশ্রয় হবে।
শেয়ার বাজারে মূলধনী আয়ে কর প্রসঙ্গেও সরকারের যুক্তি, শেয়ার বাজার থেকে ১৫ শতাংশ রিটার্ন পাওয়া যায় বলে ধরা হলে, ৬ লক্ষ টাকা লগ্নি করলে ১ লক্ষ টাকা আয় হবে। ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত। এত টাকা মধ্যবিত্তরা রাখেন না। কেউ ৯ লক্ষ টাকা লগ্নি করছেন বলে ধরে নেওয়া হলেও মাসে মাত্র ৪০০ টাকা কর বসবে। এছাড়া, সরকারের যুক্তি, জিএসটি-তে অধিকাংশ পণ্যে করের বোঝা কমেছে। ফলে মধ্যবিত্ত পরিবারে মাসে ১০ হাজার টাকা খরচে অন্তত ১২০০ টাকা সাশ্রয় হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy