জেলবন্দি তিস্তা শেতলবাদ। ফাইল ছবি।
সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদকে যে ভাবে হেফাজতে রাখা হয়েছে তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলে দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত হাই কোর্টের ছ’সপ্তাহ সময় দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বলেন, ‘‘৩ অগস্ট নোটিস জারি করে ১৯ সেপ্টেম্বর মামলার শুনানির দিন স্থির করা হয়েছে। জামিনের আবেদনের ক্ষেত্রে কি ছ’সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়?’’
মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত আরও জানান, এই মামলায় এমন কোনও অপরাধ সংগঠিত হওয়ার ঘটনা দেখা যাচ্ছে না, যে কারণে জামিন দেওয়া যায় না। তাও আবার এক জন মহিলাকে। তিস্তা দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে জেলে আছেন এবং এখনও পর্যন্ত মামলার চার্জশিট জমা পড়েনি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘তিনি একজন মহিলা। হাই কোর্ট কী ভাবে ছ’সপ্তাহের মধ্যে ফেরতযোগ্য নোটিস জারি করল? এটা কি গুজরাত হাই কোর্টের আদর্শ প্রথা? আমাদের একটি উদাহরণ দিন, যেখানে এক জন মহিলা এই ধরনের কোনও মামলায় জড়িত এবং তাঁকে হাই কোর্ট এ রকম নোটিস জারি করেছে।’’
২০০২-এ গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে মামলা দায়ের করার জন্য ভুয়ো নথি ব্যবহারের অভিযোগে গত ২৫ জুন থেকে জেলে আছেন তিস্তা। প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, এই মামলায় ইউএপিএর মতো কোনও জটিল ব্যাপার নেই যেখানে জামিন দেওয়া কঠিন।
সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বৃহস্পতিবারের শুনানি মুলতুবি চেয়ে আবেদন করেন। তিনি বলেন, ‘‘এই সমস্ত যুক্তি হাই কোর্টের শোনা উচিত, সুপ্রিম কোর্টের নয়। এটাই আমার আপত্তির মূল জায়গা।’’ তিস্তার তরফের আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, ‘‘আমি এফআইআরকে চ্যালেঞ্জ করছি। এখানে এফআইআর হতে পারে না। আমার মক্কেল কী কী নথি জাল করেছেন, তা এফআইআরে কোথাও লেখা নেই।’’
বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গুজরাত দাঙ্গার বৃহত্তর ষড়যন্ত্রে গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ক্লিনচিট দিয়েছিল। জাকিয়া জাফরি সিটের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। সুপ্রিম কোর্ট সিটের রায়ই বহাল রাখে। ঠিক তার পরের দিনই মুম্বই থেকে তিস্তাকে গ্রেফতার করে গুজরাত পুলিশের সন্ত্রাসদমন স্কোয়াড।
সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি শুক্রবার দুপুর ২টোয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy