কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা নিতিন গডকড়ী। —ফাইল চিত্র।
‘এক দেশ এক ভোট’ নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত বিলকে কেন্দ্র করে লোকসভায় সরকার এবং বিরোধীদের মধ্যে সংঘাতের সুর স্পষ্ট ছিল। বিরোধীদের ‘ডিভিশনে’র দাবি মেনে বিল নিয়ে ভোটাভুটি হয়। সেই ভোটাভুটিতে সরকারের পক্ষে ভোট পড়ে ২৬৯। কিন্তু সংসদের নিম্নকক্ষে শাসকজোটের সাংসদ সংখ্যা ২৯৩। হিসাব অনুযায়ী, এনডিএ-র ২৪ জন সাংসদ মঙ্গলবার লোকসভায় অনপুস্থিত ছিলেন! তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েক জন আবার বিজেপি সাংসদও রয়েছেন। নিতিন গডকড়ী, জ্যোতিরাদিত্য শিন্দে, গিরিরাজ সিংহের মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও ছিলেন সেই তালিকায়। কেন গরহাজিরা, তা নিয়ে এ বার পদক্ষেপ করতে চলেছে পদ্মশিবির। সূত্রের খবর, অনুপস্থিত বিজেপি সাংসদদের নোটিস পাঠাতে চলেছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার লোকসভায় হাজির থাকা এবং ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ বিল নিয়ে আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য বিজেপির তরফে আগেই দলীয় সাংসদের হুইপ জারি করা হয়েছিল। ‘এক দেশ এক ভোট’ বিল পেশের সময় লোকসভায় উপস্থিতি বাধ্যতামূলক বলেও দাবি করা হয়। কিন্তু তার পরও কেন তা অমান্য করা হল, তার কারণ জানতেই অনুপস্থিত বিজেপি সাংসদদের কাছে নোটিস পাঠানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এএনআই সূত্রে খবর, যাঁরা লোকসভায় অনুপস্থিত ছিলেন, তাঁরা কি আগে থেকেই সে বিষয়ে দলকে অবগত করেছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
‘এক দেশ এক ভোট’ নিয়ে প্রথম থেকেই সরব ছিল বিরোধীরা। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল এ সংক্রান্ত ১২৯তম সংবিধান সংশোধনী বিল এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আইন (সংশোধনী) বিল সংসদের নিম্নকক্ষে পেশ করেন। এর পরে কংগ্রেস, তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি-সহ বিভিন্ন বিরোধী দল জোড়া বিল নিয়ে ডিভিশনের দাবি তোলে। সেই দাবি মেনে নেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। মঙ্গলবার ‘এক দেশ এক ভোট’ বিল পেশের জন্য প্রথমে ‘ইলেকট্রনিক ভোটিং সিস্টেম’ এবং তার পরে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটাভুটি হয়। এই প্রথম নতুন সংসদ ভবনে ‘ইলেকট্রনিক ভোটিং সিস্টেম’ ব্যবহার করা হল। ভোটাভুটিতে বিলের পক্ষে ভোট দেন সরকার পক্ষের ২৬৯ জন সাংসদ। বিপক্ষে ১৯৮ জন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy