কেন্দ্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যদি তাঁরা আলোচনায় মত বিনিময় করতে পারেন, তবে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কেন পারবেন না? মণিপুরের আলোচনাপন্থী কুকি জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির যৌথ মঞ্চ ‘কুকি ন্যাশনাল অর্গানাইজ়েশন’ (কেএনও)-এর মুখপাত্র সেইলেন হাওকিপ শুক্রবার এই প্রশ্ন তুলেছেন। চলতি সপ্তাহে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আলোচনাসভায় যোগ দিতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছিলেন তিনি। তারই জেরে ওই প্রতিক্রিয়া।
হাওকিপ জানিয়েছেন, ১৭টি কুকি জঙ্গিগোষ্ঠীর যৌথমঞ্চ কেএনও গত দেড় দশক ধরে কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতি সমঝোতার শরিক। কিন্তু গত ২২ মাসের মেইতেই-কুকি গোষ্ঠীহিংসার জেরে তাঁদের উপর নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রীরাম কলেজ অফ কর্মাস-এ আয়োজিত ওই আলোচনা সভায় মেইতেই পড়ুয়া এবং নাগরিক সমাজ তাঁকে বক্তৃতা করতে বাধা দিয়েছিল বলেও জানান কেএনও মুখপাত্র।
আরও পড়ুন:
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার পরে মেইতেই হেরিটেজ সোসাইটির তরফে কুকি জঙ্গিদের প্রকাশ্যে বিবৃতি দেওয়া বন্ধের দাবি তোলা হয়েছে। ২০২৩ সালের ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে মণিপুরে অশান্তির সূত্রপাত হয়েছিল। তার পরে প্রায় দু’বছর কাটতে চললেও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওই বিজেপি শাসিত রাজ্যে অশান্তি থামেনি। মণিপুরের আদি বাসিন্দা হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি, জ়ো-সহ কয়েকটি তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের (যাদের অধিকাংশই খ্রিস্টান) সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত প্রায় আড়াইশো জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়ার সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার।