পোশাকি নাম .৩৮৮ লাপুয়া ম্যাগনাম। ভারতীয় কম্যান্ডোরা ডাকেন ‘সাবার’ নামে। দেশে তৈরি এই স্নাইপার রাইফেল এ বার টেক্কা দিল তার বিদেশি প্রতিদ্বন্দ্বীদের! সর্বভারতীয় পুলিশ কম্যান্ডো প্রতিযোগিতার স্নাইপার ক্যাটেগরিতে ‘ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড’ (এনএসজি) বাহিনী ‘সাবার’ ব্যবহার করেই ছিনিয়ে আনল সেরার সম্মান। এই অস্ত্র প্রায় দেড় কিলোমিটার দূর থেকে নিখুঁত নিশানায় আঘাত করতে পারে শত্রুকে!
শুধু নিখুঁত লক্ষ্যভেদই নয়, প্রাণঘাতী আঘাত-সহ সমস্ত মাপকাঠিতেই ‘নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী’ আমেরিকায় তৈরি ৫০ ক্যালিবারের ‘ব্যারেট’কে পিছনে ফেলেছে ‘সাবার’। ওই স্নাইপার রাইফেল ব্যবহার করে দ্বিতীয় হয়েছে মহারাষ্ট্র পুলিশের বিশেষ সন্ত্রাসদমন কম্যান্ডো বাহিনী ‘ফোর্স ওয়ান’। বেঙ্গালুরুর ছোট আগ্নেয়াস্ত্র প্রস্তুতকারক এসএসএস ডিফেন্সের তৈরি .৩৮৮ লাপুয়া ম্যাগনাম ইতিমধ্যেই বিদেশের কয়েকটি কম্যান্ডো বাহিনী ব্যবহার করে। উৎকর্ষের নতুন মাত্রায় পৌঁছোনোর ফলে তার চাহিদা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরিতে প্রায় দেড় দশক আগে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছিল প্রথম স্নাইপার রাইফেল ‘ঘাতক’। বিভিন্ন রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশবাহিনী এবং কেন্দ্রীয় আধাসেনা ব্যবহার করে। ভারতীয় সেনা রুশ ড্রাগোনভ, ইজ়রায়েলের আইএমআই গালিল, জার্মান সংস্থা ‘হেকলার অ্যান্ড কখ্’ নির্মিত পিএসজি১, জার্মানির মাউসার সংস্থার এসপি৬৬-র পাশাপাশি ব্যবহার করে এসএসএস ডিফেন্সের .৩৮৮ লাপুয়া ম্যাগনাম ‘সাবার’। অন্য দিকে, কয়েকটি কেন্দ্রীয় ও রাজ্য পুলিশের কম্যান্ডো বাহিনী ব্যবহার করে ‘ব্যারেট’। প্রসঙ্গত, পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে আমেরিকার তৈরি জেট যুদ্ধবিমান ‘স্যাবার’ (আসল নাম এফ-৮৬) ছিল ভারতের বিরুদ্ধে পাক বায়ুসেনার অন্যতম অস্ত্র।