সি সেকশনের সময়ে প্রসূতির পেটে চিকিৎসক ভুলবশত তুলোর গোলা ফেলে রেখেছিলেন বলে অভিযোগ। তার পর থেকে প্রায় সাত বছর ভুগেছেন রজনী শর্মা নামে ওই মহিলা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও লাভ হয়নি বলে তাঁর অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করল পুলিশ। উত্তরপ্রদেশের মেরঠের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, চিকিৎসকের থেকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন রজনী। যদিও অভিযুক্ত চিকিৎসক শিখা জৈন এই ‘ভুল’-এর কথা অস্বীকার করেছেন।
রজনী অভিযোগ করে জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের জুন মাসে কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন তিনি। অস্ত্রোপচার করেছিলেন চিকিৎসক শিখা। দিন কয়েক পর থেকে তাঁর পেটে ব্যথা শুরু হয়। চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর আলসার হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি হাসপাতালে দু’-বার অস্ত্রোপচার হয় রজনীর। তাঁর অভিযোগ, অতীতে অস্ত্রোপচারের সময় তাঁর পেটে যে তুলোর গোলা রয়ে গিয়েছিল, তার জন্যই পরবর্তীকালে পেটে ব্যথা হয়। সেই তুলোর গোলা পেট থেকে বার করা হয়েছে বলেও দাবি রজনীর।
পুলিশ আধিকারিক সুবোধকুমার সাক্সেনা জানান, রজনী দাবি করেছেন, পেট থেকে তুলো বার হওয়ার পরে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। এর পরে তিনি চিফ মেডিক্যাল অফিসার (সিএমও)-এর দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাতেও কাজ না হওয়ায় বাধ্য হয়ে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন বলে দাবি করেন রজনী। সাক্সেনা জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশে শুক্রবার মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তদন্ত শুরু করেছে তারা।
চিফ মেডিক্যাল অফিসার অশোক কাটারিয়া রজনীর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর দফতরে ওই মহিলা কোনও অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানতেন না। অভিযুক্ত চিকিৎসকের দাবি, টাকা আদায়ের জন্যই এ সব করছেন মহিলা।