ফের ভূমিকম্পে কাঁপল মায়ানমার। শনিবার দুপুরে সে দেশের স্থানীয় সময় ২টো ৫০ মিনিটে ভূমিকম্পটি হয়। উৎসকেন্দ্র ছিল রাজধানী নেপিডো মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। আমেরিকার জিয়োলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.১।
শনিবার দুপুরের এই কম্পনে কতটা কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। শুক্রবারের জোরালো ভূমিকম্প এবং একাধিক ‘আফটারশক’ (ভূমিকম্পের পরবর্তী কম্পন)-এর পর মায়ানমারের নানা প্রান্তে উদ্ধারকাজ চলছে। চলছে রাস্তা সারাই, বিদ্যুতের সংযোগ ফেরানোর কাজও। ভূমিকম্পের পর এই সমস্ত কাজ বেশ কিছু সময়ের জন্য ব্যাহত হয়।
শুক্রবার সকাল থেকে পর পর ১৫ বার কেঁপেছে ভারতের পূর্ব দিকের প্রতিবেশী দেশটির মাটি। রিখটার স্কেলে প্রথম কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৭। তার পরে ১০ ঘণ্টার মধ্যে ১৪টি ‘আফটারশক’ (ভূমিকম্পের পরবর্তী কম্পন) অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্প তছনছ করে দিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা।
৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পরে কয়েক মিনিটের মধ্যেই সবচেয়ে শক্তিশালী ‘আফটারশক’টি হয়। রিখটার স্কেলে তার মাত্রা ছিল ৬.৭। উভয় ক্ষেত্রেই কম্পনের উৎসস্থল ছিল মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। এই দুই কম্পনে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর পর বাকি ‘আফটারশক’গুলি আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, শুক্রবার রাত ১১.৫৬ মিনিটেও এক বার ভূমিকম্প হয়েছে মায়ানমারে। তার তীব্রতা ছিল ৪.২।
আরও পড়ুন:
মায়ানমারের সরকারি সংবাদমাধ্যম জানায়, মৃত্যুর সংখ্যা ১০০০ ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ২,৩৭৬ জন। নিখোঁজ ৩০ জন। এখনও দেশের বিস্তীর্ণ অংশে উদ্ধারকাজ চলছে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।