গুরমিত রাম রহিম। ফাইল চিত্র।
সাজা ঘোষণার পর প্রায় পনেরো দিন হয়ে গেল। রোহতকের সুমারিয়া জেলে বন্দি ডেরা প্রধান গুরমিত রাম রহিম। জেলে থাকাকালীন অবস্থায় কাদের সঙ্গে সে দেখা করতে চায়, এমন দশ জনের নামের একটি তালিকা আগেই গুরমিত তুলে দিয়েছিল জেল কর্তৃপক্ষের হাতে। জেল সূত্রে খবর, ‘বাবা’র তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের কেউই এত দিন তার সঙ্গে দেখা করতে আসেননি। অবশেষে ছেলের সঙ্গে দেখা করতে এলেন মা নসীব কাউর।
আরও পড়ুন: রায়ের পরেও ঠিকানা পাননি বিধবা
জেল সূত্রে খবর, সুনারিয়া জেলের ৮ ফুট বাই ৮ ফুট সেলের ভিতরে এত দিন ধরে থাকার পর পরিবারের কোনও সদস্যকে দেখতে পেয়ে নাকি আপ্লুত হয় হয়ে পড়ে গুরমিত। মা নসীবকে দেখার পরই নাকি গুরমিতের প্রথম প্রশ্ন ছিল, ডেরা ঠিকঠাক চলছে কিনা! সব কিছুই ঠিকঠাক চলছে খবরটা মায়ের কাছ থেকে পাওয়ার পর থেকেই যেন একটি স্বস্তির ছাপ ফুটে ওঠে গুরমিতের মুখে। তবে ডেরার পরবর্তী মাথা কে হবে এ নিয়ে মা-ছেলের মধ্যে কোনও কথা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: গলাকাটা অবস্থাতেও হামাগুড়ি দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেছিল প্রদ্যুম্ন!
আরও পড়ুন: ৩৩ ঘণ্টার ‘দুঃস্বপ্ন’ কাটিয়ে গন্তব্যে বৃদ্ধ
ডেরার পরবর্তী মাথা কে হবে, তা নিয়ে জল্পনা চলছিল রাম রহিমের সাজা হওয়ার পরই। হানিপ্রীতের নাম উঠে এলেও সে জল্পনার অবসান ঘটান নসীব নিজেই। তিনি আগেই ঘোষণা করেছিলেন ডেরার উত্তরসূরি হবেন গুরমিতের ছেলে জসমিত সিংহ ইনসান। ডেরা ম্যানেজমেন্ট কমিটি সেই কাজও শুরু করে দিয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন নসীব। ডেরার কাজ যেমন চলছিল তেমনই চলছে বলে জানান ডেরার চেয়ারপার্সন বিপাসনা। পাশাপাশি তিনি এটাও জানান, এখনও ডেরা প্রধান রয়েছেন গুরমিতই।
পুলিশ সূত্রে খবর, গুরমিত যে নামের তালিকা জেল কর্তৃপক্ষকে দিয়েছিল, তাঁদের বেশির ভাগই পলাতক বা নিখোঁজ। ফলে কেউই জেলে গুরমিতের সঙ্গে দেখা করতে আসেননি। ধর্ষণের মামলায় সাজা হওয়ার পর থেকেই গুরমিতের স্থায়ী ঠিকানা সুমারিয়া জেলের ৮ বাই ৮ ফুটের সেল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy