অন্য ভূমিকায়: বৃন্দাবনে দুঃস্থ শিশুদের খাবার পরিবেশন করছেন নরেন্দ্র মোদী। সোমবার। পিটিআই
উনিশের ভোটের আগে ফের গো-রাজনীতিতে হাওয়া দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃন্দাবনে গিয়ে সোমবার বললেন, গো-মাতার ঋণ কোনও ভাবেই শোধ করা যায় না।
লখনউয়ে যখন ঝড় তুলছেন রাহুল-প্রিয়ঙ্কারা, মোদী বৃন্দাবনে পৌঁছন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। সেখানে আর্থিক ভাবে অনগ্রসর পড়ুয়াদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী এক স্কুল পড়ুয়াকে বলেন, তিনি দেরি করে আসায় খাবার পেতে দেরি হয়ে গেল। তখন পাশ থেকে একটি বালিকা বলে ওঠে, ‘‘আমরা খাবার খেয়েই এসেছি!’’ ওই অনুষ্ঠানেই মোদী বলেন, ‘‘গো মাতা আমাদের দুধ দেয়। গো মাতার সেই ঋণ কোনও ভাবেই শোধ করা যায় না। গরু আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।’’ স্কুল পড়ুয়াদের খাবারের পুষ্টির কথা বলতে গিয়েই গো-রাজনীতিতে ঢুকে পড়েন মোদী। মোদী জানান, গরুর স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য তাঁর সরকার ‘রাষ্ট্রীয় গোকুল মিশন’ শুরু করেছে। বাজেটেও ‘রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগ’ গড়ে তোলার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। বরাদ্দ হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা।
গো বলয়ে আজকের অনুষ্ঠানে পৌঁছনোর আগে গত কাল রাত পর্যন্ত দক্ষিণের বিভিন্ন রাজ্যে গিয়ে মোদী বিরোধীদের উদ্দেশে আক্রমণ শানিয়েছেন। অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক কিংবা তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যে বিক্ষোভের মুখেও পড়তে হয়েছে তাঁকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রমণ তো ছিলই, তামিলনাড়ুর তিরুপুরে মোদীকে কালো পতাকা দেখান এমডিএমকে নেতা ভাইকো ও তাঁর অনুগামীরা। মোদীর তামিলনাড়ু সফরের সময়ে কালো বেলুন ওড়ান তাঁরা। তার আগে কর্নাটকে মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী জানিয়ে দেন, প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আর অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডুর সঙ্গে মোদীর তরজা তো ব্যক্তিগত আক্রমণের পর্যায়ে পৌঁছয়। এই টানাপড়েনের মধ্যেই কর্নাটকেরএকটি সভায় মোদী মন্তব্য করেন, ‘‘সৎ মানুষেরা আমাকে বিশ্বাস করেন। দুর্নীতিগ্রস্তদের আমাকে নিয়ে সমস্যা রয়েছে।’’
উনিশের ভোটে দক্ষিণে জোরালো হাওয়া তোলা কঠিন বুঝেই মোদী হিন্দি বলয়ে ফিরে এসে খেলেছেন তাঁর পুরনো তাস— হিন্দুত্ব। জানিয়েছেন, গো-মাতার ঋণ শোধ হবে না কোনও ভাবেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy