জনসেবার নামে ট্রাস্ট গঠন করে হাসপাতালের জন্য এক টাকা দামে জমি নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেখানে না মিলছে গরিবদের চিকিৎসা, না থাকছে গরিবদের জন্য নিখরচার বেড। জনসেবামূলক ট্রাস্টের আড়ালে নানারকম কর ছাড়ের সুবিধা ভোগের পর ট্রাস্ট চেহারা বদলে বেসরকারি সংস্থা হয়ে যাচ্ছে। হাসপাতালের সম্পত্তিও সেই বেসরকারি সংস্থার হয়ে যাচ্ছে। এই ধরনের বেআইনি কাজকারবার রুখতে অর্থ বিলের মাধ্যমে আয়কর আইনে সংশোধন করছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।
পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারও ক্লিনিকাল এস্টাব্লিশমেন্ট বিলের মাধ্যমে এই ধরনের হাসপাতালগুলিকে পথে আনতে চাইছে। মমতার বক্তব্য, ‘‘অনেকে এক টাকায় হাসপাতালের জমি কিনেছেন, কিন্তু রোগীকে নিয়মমাফিক চিকিৎসা পরিষেবা দিচ্ছেন না। এ সব দেখার জন্যই ওই বিল।’’ মোদী সরকার কার্যত মমতার পথেরই পথিক।
অর্থ মন্ত্রক সূত্রের ব্যাখ্যা, আয়কর আইনে সংশোধন করে এমন ব্যবস্থা করা হচ্ছে যাতে ট্রাস্ট-চালিত হাসপাতাল থেকে আয় শুধুমাত্র জনসেবার কাজেই ব্যবহার হতে পারে। ট্রাস্টগুলি উদ্দেশ্য বদলাতে চাইলে কর ছাড়ের জন্য নতুন করে আয়কর দফতরের ছাড়পত্র নিতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ে আয়কর রিটার্ন ফাইল করতে হবে। এর ফলে ট্রাস্টের নামে ব্যবসা চালিয়ে মুনাফা লোটা বন্ধ হবে। বাজেটে অরুণ জেটলি ঘোষণা করেছিলেন, কেউ যদি জনসেবামূলক সংস্থাকে লাভজনক সংস্থায় রূপান্তরিত করতে চান, তা হলে ‘এক্সিট ট্যাক্স’ বা বিশেষ কর মেটাতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy