মেট্রো-নিজস্বী: অক্ষরধাম মন্দির যাওয়ার পথে দিল্লি মেট্রোয় দুই প্রধানমন্ত্রী। অস্ট্রেলিয়ার ম্যালকম টার্নবুল আর ভারতের নরেন্দ্র মোদী। এ দিনই সন্ত্রাস মোকাবিলায় অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ৬ দফার চুক্তি সই করল ভারত। ছবি: পিটিআই
সরকারের তিন বছরের মাথায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে এনডিএ-কে একজোট রাখতে নৈশভোজ করলেন নরেন্দ্র মোদী। আর এই সুযোগে শরিকদের নিয়ে লোকসভার প্রস্তুতিও শুরু করে দিলেন। বৈঠকের পরে অরুণ জেটলি ও তেলুগু দেশম নেতা চন্দ্রবাবু নায়ডু জানিয়েছেন, মোদীই এখন সবচেয়ে বড় ব্র্যান্ড বলে মনে করে এনডিএ-র সব শরিকই। তাই ২০১৯ সালের ভোটে মোদীকে সামনে রেখেই লড়বে তারা। এ নিয়ে বৈঠকে প্রস্তাবও গৃহীত হয়েছে। পরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আপনারা আমার উপরে যে আস্থা রেখেছেন তার মর্যাদা রক্ষা করার চেষ্টা করব।’’
নৈশভোজে হাজির ছিলেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরেও। যাঁর মুম্বই ছেড়ে দিল্লিতে আসা বিরল ঘটনা। সাম্প্রতিক অতীতে বিজেপির সঙ্গে শিবসেনার বিস্তর টানাপড়েন হয়েছে। তাই উদ্ধবের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। ব্র্যান্ড মোদীকে সামনে রেখে ভোটে লড়ার প্রস্তাবে উদ্ধবের সিলমোহর আদায় বড় সাফল্য বলেই মনে করছেন রাজনীতিকরা।
সংসদের বাজেট অধিবেশন শেষ হওয়ার দু’দিন আগে আজ সকালেই কংগ্রেস-তৃণমূলের মতো প্রায় এক ডজনের বেশি বিরোধী দল একজোট হয়ে মোদী-বিরোধিতার মঞ্চটি ঝালিয়ে নিয়েছে। আবার আজই এনডিএ-র ৩৩টি শরিককে নিয়ে নৈশভোজের আয়োজন করেন মোদী।
আরও পড়ুন...
আইন করেই রামমন্দির চায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ
কিন্তু কেন এই আয়োজন?
বিজেপি সূত্রের মতে, এর আশু কারণ অবশ্যই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। চন্দ্রবাবু নায়ডু অবশ্য বলেছেন, ‘‘রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে আমরা যথাসময়ে সিদ্ধান্ত নেব।’’ বিজেপি সূত্রের খবর, বৈঠকে জানানো হয়েছে গত তিন বছরে গরিবদের জন্য যে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে সব শরিককেই সেগুলি তৃণমূল স্তরে নিয়ে যেতে হবে। বিজেপির মতে, সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলিতে দেখা গিয়েছে মোদীর পক্ষে সব জাতি-ধর্মের সমর্থন রয়েছে। সেই সামাজিক অঙ্কটিকেই গোটা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান মোদী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy