Advertisement
০৩ অক্টোবর ২০২৪

বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে পাটোলে

ওই ছবিতে বিজেপির এই প্রাক্তন সাংসদকে স্বাগত জানাচ্ছেন রাহুল। দলের পক্ষ থেকে অবশ্য জানানো হয়, ৮ দিন আগেই ক‌ংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন পাটোলে।

স্বাগত: কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পরে মহারাষ্ট্রের সাংসদ নানা পাটোলেকে শুভেচ্ছা রাহুল গাঁধীর। —নিজস্ব চিত্র।

স্বাগত: কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পরে মহারাষ্ট্রের সাংসদ নানা পাটোলেকে শুভেচ্ছা রাহুল গাঁধীর। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:১৮
Share: Save:

বিদ্রোহকে প্রথম প্রকাশ্যে এনেছিলেন তিনিই। স্পষ্ট বলেছিলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী কারও কথা শোনেন না। প্রশ্ন পছন্দ করেন না। প্রশ্ন শুনলেই রেগে যান।’’ নরেন্দ্র মোদীর ‘কৃষক-বিরোধী’ নীতির বিরোধিতা করে সেই নানা পাটোলেই বিজেপি ছেড়ে শরণাপন্ন হলেন রাহুল গাঁধীর। মোদী জমানায় তিনিই প্রথম সাংসদ, যিনি বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন।

গুজরাত ভোট শুরুর এক দিন আগেই বিজেপি ছেড়েছিলেন মহারাষ্ট্রের ভান্ডারা-গোন্ডিয়া কেন্দ্রের এই সাংসদ। ২০১৪ সালে মোদী-হাওয়ায় যিনি শরদ পওয়ারের দলের প্রফুল্ল পটেলকে হারিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর রাহুল গাঁধীর সভাতেও তাঁকে দেখা গিয়েছিল। আজ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাহুলের সঙ্গে তাঁর ছবি প্রকাশ করা হয়। ওই ছবিতে বিজেপির এই প্রাক্তন সাংসদকে স্বাগত জানাচ্ছেন রাহুল। দলের পক্ষ থেকে অবশ্য জানানো হয়, ৮ দিন আগেই ক‌ংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন পাটোলে।

পাটোলে বলেন, ‘‘আমি কংগ্রেসে যোগ দিয়েছি। জাতীয় বা রাজ্য স্তরে দল যা দায়িত্ব দেবে, তা পালন করব। তবে কৃষকদের দুরবস্থা নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাব।’’ কংগ্রেস সূত্রের মতে, কোনও শর্ত ছাড়াই পাটোলে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তাঁকে কী দায়িত্ব দেওয়া হবে, সেটি এখনও ঠিক হয়নি। তবে ঘনিষ্ঠ মহলে পাটোলে জানিয়েছেন, তিনি বিধানসভা কেন্দ্রে লড়তেই বেশি আগ্রহী। কিন্তু তাঁর ছেড়ে দেওয়া লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে যদি বিজেপি থেকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস অথবা এনসিপির প্রফুল্ল পটেল লড়েন, তাহলে ফের টক্কর দেবেন পাটোলে।

পাটোলের বিজেপি ছাড়ার পিছনে প্রফুল্ল পটেলের ভূমিকাও রয়েছে বলে কংগ্রেসের নেতাদের মত। প্রফুল্লর সঙ্গে পাটোলের সম্পর্ক খুবই খারাপ। যে প্রফুল্ল পটেলকে তিনি হারিয়েছিলেন, তিনিই বিজেপির ঘনিষ্ঠ হচ্ছেন বলে ক্ষুব্ধ হন পাটোলে। কংগ্রেস নেতাদের পাটোলে জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীসকেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসতে পারেন মোদী। তাই তাঁকে উপনির্বাচনে সাংসদ করে জিতিয়ে আনার চেষ্টাও হতে পারে। লোকসভা থেকে না হলে রাজ্যসভা থেকে। গুজরাতে রাজ্যসভা নির্বাচনে শরদ পওয়ারের দুই বিধায়কের কেউই আহমেদ পটেলকে ভোট না দেওয়ায় কংগ্রেস-এনসিপি সম্পর্কে চিড় ধরেছে। খোদ রাহুলও অসন্তুষ্ট। গুজরাতেও এনসিপির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেনি কংগ্রেস। এখন প্রফুল্ল পটেল যদি মহারাষ্ট্রের কেন্দ্র থেকে লড়তে চান, তাহলে কংগ্রেসকে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। ফলে আগামী দিনে পাটোলে শুধুমাত্র মোদী-বিরোধী মুখই নন, এনসিপির সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্কেরও নতুন মোড় আনতে পারেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE