প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়ানোর অভিযোগে আরও এক জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুধু বিমান ওড়ানোর হুমকি নয়, অভিযোগ বেশ কয়েক জন মন্ত্রীকে বোমা হামলার হুমকি দিয়েও ইমেল পাঠিয়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার নাগপুর থেকে অভিযুক্ত শ্রীরাম উইকিকে গ্রেফতার করে মহারাষ্ট্র পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৫ থেকে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে মোট ৩০টি হুমকিবার্তা পাঠিয়েছিলেন শ্রীরাম। বিভিন্ন বিমান সংস্থা এবং বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে ইমেল করে হুমকি দেন তিনি। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীসের মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকেও হুমকি দিয়েছিলেন শ্রীরাম।
তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রীরাম সাক্ষাৎ করতে চেয়ে ফডণবীসকে ইমেল করেছিলেন। সেই ইমেলে দাবি করা হয়, বিস্ফোরণ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দিতে চান। নাগপুর পুলিশের ডিসি লোহিত মাটানি জানান, বৃহস্পতিবার রাতে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে অভিযুক্তকে। কেন তিনি হুমকি বার্তা পাঠিয়েছিলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। শ্রীরামকে জেরা করে কারণ জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
গত কয়েক সপ্তাহে ধারাবাহিক ভাবে একাধিক ভারতীয় বিমান সংস্থার কাছে বোমা হামলার হুমকি পাঠানো হচ্ছে। অন্তর্দেশীয় বিমান তো বটেই, আন্তর্জাতিক বিমানেও ছড়ানো হচ্ছে বোমাতঙ্ক। সোমবারই কলকাতা বিমানবন্দরে আসা-যাওয়ার অন্তত সাতটি বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছিল। যদিও পরে দেখা যায়, সবগুলি বিমানেই বোমা রাখার তথ্য ভুয়ো।
একের পর এক বিমানে বোমাতঙ্কের ঘটনায় উদ্বিগ্ন কেন্দ্র। নরেন্দ্র মোদী সরকারের তরফে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। কারা এই ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে, তাঁদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সমাজমাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে বোমাতঙ্ক। সেই দিকে নজর রেখে এক্স (সাবেক টুইটার), মেটার মতো সমাজমাধ্যমকে আরও সতর্ক হওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র তৎপরতায় দেশের সব বিমানবন্দরে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে।
গত দু’সপ্তাহে ৫০০-রও বেশি বিমানে বোমা থাকার হুমকি তথ্য ছড়িয়েছে। গত কয়েক দিনে বিমানে বোমা থাকার এত ভুয়ো খবর ছড়িয়েছে যে, কোনটিকে কতটা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হবে, তা নিয়েও সমস্যা তৈরি হয়েছে। এই সমস্যার কিছুটা সুরাহা করতে পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র। বিমানে বোমাতঙ্কের গুরুত্ব নির্ধারণের জন্য কোন কোন মাপকাঠিকে গুরুত্ব দিতে হবে— তা নিয়ে নির্দেশিকাও জারি করেছে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের অধীনস্থ ব্যুরো অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (বিসিএএস)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy