মুসলিমদের রামের বংশধর বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ। ফাইল ছবি।
বিপ্লব দেবের পর গিরিরাজ সিংহ। শনিবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কতটা সাধারণ তা বোঝাতে গিয়ে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। একদিন কাটতে না কাটতেই এবার আসরে নামলেন আরেক বিজেপি শীর্ষনেতা গিরিরাজ সিংহ। শুধু শীর্ষনেতা নয়, এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পমন্ত্রী বিহারের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ বিজেপি নেতা। সোমবার তিনি দাবি করে বসলেন, ‘‘মুঘল সম্রাট বাবর নয়, মুসলিমরা রামের বংশধর। তাই তাঁদের অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত।’’
মথুরার নওঝিল এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন গিরিরাজ। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ভারতের হিন্দুরা ধৈর্য্য হারালে দখল করা হবে তিনটি পবিত্র তীর্থস্থান—মথুরা, অযোধ্যা এবং কাশী। ধর্ম ও মন্দির রাজনীতির ছিল তাঁর বক্তব্যের সারবস্তু। রাহুল গাঁধীর ‘শিবভক্ত’ হিসেবে নিজেকে দেখানোর চেষ্টাকেও কটাক্ষ করেন গিরিরাজ। রাহুলকে উদ্দেশ্য করে তাঁর মন্তব্য, ‘‘ প্রকৃত হিন্দু হলে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গোমাংস খাওয়া বন্ধ করুন। আর শুধুমাত্র নির্বাচনের আগে মন্দির পরিদর্শন বন্ধ করুন।’’
রাহুলকে আক্রমণের প্রশ্নে অবশ্য বরাবরই বাড়তি তৎপরতা দেখান গিরিরাজ। রাহুলের কৈলাসযাত্রার সমস্ত ছবিই ভুয়ো বলে দাবি করেছিলেন তিনি। যদিও পরে গিরিরাজের দাবি ভুল প্রমাণিত হয়েছিল। তার আগে বিহারের জেলে গিয়ে ‘গোরক্ষা’র দাবিতে গণপিটুনিতে অভিযুক্তদের সঙ্গে দেখা করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন গিরিরাজ।
আরও পড়ুন: ‘মোদীর এক ভাই অটোচালক! অন্য জন মুদি’
স্বভাবসিদ্ধ ভাবে মথুরার সভায় গিরিরাজের ভাষণে শিষ্টাচারের কোনও বালাই ছিল না। মন্দির রাজনীতি ছাড়াও তাঁর আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষরাই। কয়েক দিন আগেই আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত জানিয়েছিলেন, সমস্ত ভারতীয়রাই হিন্দু। শুধু তাই নয়, গত বেশ কিছুদিন ধরেই রামমন্দির ইস্যুতে দেশজুড়ে সরব হতে দেখা যাচ্ছে কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের। তাই গিরিরাজের এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘হিন্দু হয়েও ফ্যাসিবাদী হিন্দুত্ব মোকাবিলার রাস্তা আছে, দেখিয়েছিলেন গাঁধী’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy