পাকিস্তানে দাউদ ইব্রাহিমের সম্পত্তি হিসেবে ন’টি ঠিকানা প্রকাশ করেছিল ভারত। তার মধ্যে ৬টি ঠিকানার অস্তিত্ব রাষ্ট্রপুঞ্জ কার্যত মেনে নিয়েছে বলেই দাবি দিল্লির।
১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণের মূল অভিযুক্ত দাউদকে ২০০৩ সালের ৩ নভেম্বর ‘আন্তর্জাতিক জঙ্গি’ হিসেবে ঘোষণা করে রাষ্ট্রপুঞ্জ। তখন থেকেই সে নিষিদ্ধ ব্যক্তিদের তালিকায় রয়েছে। এই তালিকা মাঝে মাঝেই সংশোধন করে নিষেধাজ্ঞা কমিটি।
ভারতের বরাবরই দাবি, পাকিস্তানে লুকিয়ে আছে দাউদ। যে দাবি আবার সব সময়েই অস্বীকার করে এসেছে পাকিস্তান। পাক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সরতাজ আজিজকে দেওয়ার জন্য দাউদ নিয়ে একটি নয়া ডসিয়ার তৈরি করেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। সেই তালিকাতেই থাকা তিনটি ঠিকানা অবশ্য ভুল বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিষেধাজ্ঞা কমিটি। ওই তিনটি ঠিকানার একটি হল ইসলামাবাদের মারগাল্লা রোডে এফ-৬/২ স্ট্রিটে ৭ নম্বর বাড়ি। দিল্লির দাবি, এটি পাকিস্তানে দাউদের অন্যতম সম্পত্তি। নিষেধাজ্ঞা কমিটি জানিয়েছে, ওই বাড়িটি আসলে রাষ্ট্রপুঞ্জে পাক রাষ্ট্রদূত মালিহা লোধির। করাচির ক্লিফটন ও ডিফেন্স হাউসিং এরিয়ার দু’টি বাড়িও দাউদের নয় বলেই জানিয়েছে তারা। বাকি ঠিকানাগুলি নিয়ে কমিটি কোনও মন্তব্য না করার পরে দিল্লির সরকারি মহলের একটি অংশের দাবি, এই চুপ থাকার অর্থ বাকি ঠিকানাগুলি দাউদের বলেই মেনে নিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ।
এত দিন দাউদের জন্মস্থান হিসেবে রাষ্ট্রপুঞ্জের নথিতে ছিল ‘বোম্বাই’-এর নাম। এই সংশোধনের পরে তা বদলে গিয়ে হয়েছে মহারাষ্ট্রের খেড় জেলার রত্নগিরি। মাফিয়া ডনের সঙ্গীসাথীর তালিকায় যোগ হয়েছে শেখ ফারুকি, বড়া শেঠ, বড়া ভাই, ইকবাল ভাই, মুচ্ছড় ও হাজি সাহেবের নাম।
পাক রাষ্ট্রদূতের বাড়িকে দাউদের সম্পত্তি হিসেবে চিহ্নিত করায় ভুল হয়ে থাকতে পারে বলেই মেনে নিচ্ছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অফিসাররা। বাকি ঠিকানাগুলি সম্পর্কে সে কথা মানতে রাজি নন তাঁরা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের দাবি, দাউদ প্রায়ই ঠিকানা বদলায়। ওই বাড়িগুলি এক সময়ে তার ছিল। পরে হাত
বদল হয়েছে।
কিন্তু এতে কি দাউদ সম্পর্কে ভারতীয় গোয়েন্দাদের হাতে থাকা তথ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল না? স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু বলেন, ‘‘দাউদ এখন কোথায় আছে আমরা তা জানি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy