Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪
National News

স্বেচ্ছামৃত্যু: সুপ্রিম কোর্টের রায়ে এই বৃদ্ধ দম্পতি আদৌ খুশি নন

ইরাবতীর ৮৭ বছর বয়সী স্বামী নারায়ণের কথায়, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের এই রায় তাঁদের জন্য, যাঁরা শারীরিক ভাবে একেবারেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন, যাঁরা আর জীবনযন্ত্রণা সহ্য করতে চান না। কিন্তু এতে আমাদের কোনও লাভ হল না। কারণ, আমরা পুরোপুরি সুস্থ। দিব্য আছি শারীরিক ভাবে।’’

ইরাবতী ও নারায়ণ লাভাতে। ছবি- সংগৃহীত।

ইরাবতী ও নারায়ণ লাভাতে। ছবি- সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৮ ১৬:৪১
Share: Save:

পরোক্ষে স্বেচ্ছামৃত্যু নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় যতই ঐতিহাসিক হোক, তা নিয়ে একটুও খুশি নন মুম্বইয়ের এক প্রবীণ দম্পতি।

ইরাবতী লাভাতে ও নারায়ণ লাভাতে। থাকেন মুম্বইয়ের গিরাগাঁওয়ের ছোট্ট একটা গলিতে।

বহু দিন ধরেই তাঁরা স্বেচ্ছামৃত্যুর দাবিদার। স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি পেতে তাঁরা চিঠি দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকেও। লিখেছিলেন, তাঁদের দু’জনের কেউই শারীরিক ভাবে অসুস্থ নন। কিন্তু আগামী দিনে অসুস্থ হয়ে পড়ে যাতে কারও উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়তে না হয়, সে জন্য তাঁরা পরোক্ষ নয়, একেবারে সরাসরি স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি চেয়েছিলেন। আর চেয়েছিলেন তাঁদের অঙ্গ দান করে যেতে। কিন্তু রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখে জবাব তো পানইনি, শুক্রবার এ ব্যাপারে শীর্ষ আদালত যে রায় দিয়েছে, তাতেও তাঁদের প্রত্যাশা পূর্ণ হয়নি। কারণ, বিশেষ ক্ষেত্রে খুব অসুস্থ হয়ে পড়লে পরোক্ষে স্বেচ্ছামৃত্যুকে আইনি বৈধতা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু ইরাবতী ও নারায়ণ সুস্থ হয়েও সরাসরি স্বেচ্ছামৃত্যুর যে আর্জি জানিয়েছিলেন, শীর্ষ আদালত তাতে সম্মতি দেয়নি।

আরও পড়ুন- আইনি স্বীকৃতি পেল জীবন থেকে নিষ্কৃতির অধিকার​

আরও পড়ুন- রক্ত দিয়ে বিগ্রহ বরণের চেষ্টা! আটকে দিল প্রশাসন​

স্কুল প্রিন্সিপাল হিসাবে অবসর নেওয়া ৭৮ বছর বয়সী ইরাবতী বলেছেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের রায়ে আমরা ০.১ শতাংশও খুশি নই। যে প্রবীণ নাগরিকরা সরাসরি স্বেচ্ছামৃত্যু চান, তাঁদের বিষয়টিকেও বিবেচনা করা উচিত ছিল সুপ্রিম কোর্টের। আমরা কেউই শারীরিক ভাবে অসুস্থ নই। আমরা আমাদের অঙ্গও দান করতে চাই। জীবনকে আমরা চুটিয়ে উপভোগ করেছি। এ বার চাই, যাঁদের প্রয়োজন, তাঁরা আমাদের অঙ্গ নিয়ে বাঁচুন।’’

ইরাবতীর ৮৭ বছর বয়সী স্বামী নারায়ণের কথায়, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের এই রায় তাঁদের জন্য, যাঁরা শারীরিক ভাবে একেবারেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন, যাঁরা আর জীবনযন্ত্রণা সহ্য করতে চান না। কিন্তু এতে আমাদের কোনও লাভ হল না। কারণ, আমরা পুরোপুরি সুস্থ। দিব্য আছি শারীরিক ভাবে।’’

সরাসরি স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি চেয়ে গত ডিসেম্বরেই তাঁরা চিঠি লিখেছিলেন রাষ্ট্রপতি কোবিন্দকে। তাতে লিখেছিলেন, ‘‘আমরা আগামী দিনে কারও উপর নির্ভরশীল হয়ে বাঁচতে চাই না।’’

শীর্ষ আদালতের শুক্রবারের রায়ের পর নারায়ণ এখন স্বেচ্ছামৃত্যুর অধিকার নিয়ে বিভিন্ন দেশের আইন ঘাঁটাঘাঁটি করতে শুরু করে দিয়েছেন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE