Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Blackbuck

হরিণ শিকার মামলায় ফের আদালতে যেতে হতে পারে সইফ-তব্বুদের

১৯৯৮ সালে ‘হম সাথ সাথ হ্যায়’-এর শ্যুটিং চলছিল জোধপুরে। ছবির নায়ক ছিলেন সলমন খান। অন্যান্য চরিত্রে ছিলেন সইফ আলি খান, তব্বু, সোনালি বেন্দ্রে, নীলম, করিশ্মা কাপুর ও মণীশ বহেল।

ফাইল চিত্র

ফাইল চিত্র

সংবাদ সংস্থা
জোধপুর শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২১:২০
Share: Save:

কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না কৃষ্ণসার হরিণ শিকার মামলা। ফের বিপদে পড়তে পারেন সইফ আলি খান, তব্বু, সোনালি বেন্দ্রে এবং নীলম। দু’দশকের পুরনো মামলায় এ বছরই মুক্তি পেয়েছিলেন তাঁরা। তবে তার বিরোধিতা করছে রাজস্থান সরকার। তাঁদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য।

শনিবার সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দেন রাজস্থান সরকারের আইনজীবী। তিনি জানান, জোধপুর দায়রা আদালতে খালাস পেয়েছিলেন সইফ, তব্বু, সোনালি এবং নীলম। খুব শীঘ্রই আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানানো হবে। আবেদন জমা দেওয়া হবে হাইকোর্টে। এ ছাড়া, জোধপুরের বাসিন্দা দুষ্মন্ত সিংহের মুক্তির বিরুদ্ধেও আবেদন জানানো হবে। হরিণ শিকার করতে তিনিই সলমনদের পথ চিনিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। খোঁজ চলছে কনস্টেবল দীনেশ গাওরের। শিকারের জন্য তিনিই নাকি বন্দুক জুগিয়েছিলেন! দীর্ঘ দিন ধরে নিখোঁজ তিনি।

কিন্তু এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পাঁচ মাস লেগে গেল কেন? অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল এসকে বৈদের দাবি, ‘‘দিন কয়েক আগেই রাজস্থান সরকারের সম্মতি মিলেছে। সইফ, তব্বু, সোনালি এবং নীলমের মুক্তির বিরুদ্ধে আবেদন জানানোয় সম্মতি দিয়েছে তারা। জোধপুর দায়রা আদালতে রায় নিয়ে আইন বিভাগে দীর্ঘ আলোচনা হয়। সেখানেই স্থির হয় সবকিছু। খুব শীঘ্রই রাজস্থান হাইকোর্টে আবেদন জমা পড়বে।’’

১৯৯৮ সালে ‘হম সাথ সাথ হ্যায়’-এর শ্যুটিং চলছিল জোধপুরে। ছবির নায়ক ছিলেন সলমন খান। অন্যান্য চরিত্রে ছিলেন সইফ আলি খান, তব্বু, সোনালি বেন্দ্রে, নীলম, করিশ্মা কাপুর ও মণীশ বহেল। শুটিং চলাকালীন এক রাতে গাড়ি নিয়ে শিকারে বের হন সলমন, সইফ, তব্বু, সোনালি ও নীলম। কোঙ্কণি গ্রামে ঢুকে দু’টি কৃষ্ণসার হরিণ মারেন তাঁরা। কিন্তু স্থানীয় বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের মানুষের নজরে পড়ে যান। বিষয়টি আদালতে পৌঁছয়।

তবে আজও নিষ্পত্তি হয়নি সেই মামলার। চলতি বছরের এপ্রিলে জোধপুর দায়রা আদালত একা সলমনকে দোষী সাব্যস্ত করে। প্রমাণের অভাবে বাকিদের বেকসুর খালাস করা হয়। দু’রাত জেলে কাটিয়ে সলমন অবশ্য অন্তর্বর্তী জামিন পেয়ে যান। তবে তাঁর বিদেশ যাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা বসায় আদালত। প্রতি বার বিদেশ যাত্রার সময় আদালতের অনুমতি নিতে হবে বলে জানানো হয়।

অন্তর্বর্তিকালীন জামিন মঞ্জুর হওয়ার পরই মক্কেলের সাজার বিরুদ্ধে আবেদন জমা দেন সলমনের আইজীবী। তার শুনানি চলছে। বিদেশ যাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতেও আবেদন জানানো হয়েছে। তাঁদের যুক্তি, প্রতি বার বিদেশ যাত্রার আগে অনুমতি নেওয়া বেশ ঝামেলার ব্যাপার। বর্তমানে মুম্বইযে রয়েছেন সইফ, তব্বু এবং নীলম। বিদেশে ক্যানসারের চিকিত্সা করাচ্ছেন সোনালি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE