Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪
National News

রোজগার মাসে ৫ হাজার, ব্যাঙ্কে আচমকা ১০০ কোটি

রোজগার অতি সামান্য। মাসে মাত্র হাজার পাঁচেক টাকা। এটিএম থেকে সে টাকা তুলতে গিয়েই চোখ কপালে শীতল যাদবের। তাঁর অ্যাকাউন্টে রয়েছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা! প্রথমটায় বিশ্বাস হয়নি। কোথা থেকে এল এত টাকা?

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৪:০৮
Share: Save:

রোজগার অতি সামান্য। মাসে মাত্র হাজার পাঁচেক টাকা। এটিএম থেকে সে টাকা তুলতে গিয়েই চোখ কপালে শীতল যাদবের। তাঁর অ্যাকাউন্টে রয়েছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা! প্রথমটায় বিশ্বাস হয়নি। কোথা থেকে এল এত টাকা? আয়কর দফতর-পুলিশি হয়রানির কথা ভেবেই এখন ঘুম উড়ে গিয়েছে শীতলের। তাঁর জনধন অ্যাকাউন্টে এই বিপুল অঙ্কের কথা ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও সুরাহা হয়নি। শেষমেশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দ্বারস্থ শীতল।

আরও পড়ুন

বাজেটে করদাতাদের আরও ছাড়, কালো টাকায় থাকছে কড়া শাস্তির নিদান

মেরঠের বাসিন্দা শীতল কাজ করেন স্থানীয় একটি কারখানার প্যাকেজিং বিভাগে। স্টেট ব্যাঙ্কের সারদা রোডের শাখায় তাঁর জনধন অ্যাকাউন্ট রয়েছে। গত ১৮ ডিসেম্বর মাসমাইনের পাঁচ হাজার টাকা তুলতেই লাইন দিয়েছিলেন বাড়ির কাছের আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের এটিএমে। কিন্তু, এটিএমে ব্যালান্স দেখতে গিয়েই হতবাক শীতল। অ্যাকাউন্টে রয়েছে মোট ৯৯,৯৯,৯৯,৩৯৪ টাকা! প্রথমটায় নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। তাই এটিএমের লাইনে দাঁড়ানো এক ভদ্রলোককে নিজের ব্যালান্স স্লিপ দেখান তিনি। ওই ভদ্রলোকও জানান, শীতলের অ্যাকাউন্টে জমা রয়েছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা। ওই এটিএমে কোনও গোলযোগে এটা হতে পারে ভেবে তখনই ফের অন্য একটি এটিএমে যান শীতল। কিন্তু, ইয়েস ব্যাঙ্কের সেই এটিএমেও তাঁর ব্যালান্স স্লিপে ফুটে উঠল একই অঙ্কের টাকা।

আরও পড়ুন

কালো টাকার প্রশ্নে কংগ্রেসের নিশানায় এ বার অমিত শাহ

বাড়ি ফিরে এসেও স্বস্তি নেই শীতলের। থানা-পুলিশের কথা ভেবে সারা ক্ষণই দুশ্চিন্তা। স্বামী জিলেন্দর সিংহের পরামর্শেই তাই ছুটলেন তাঁর ব্যাঙ্কে। জনধন অ্যাকাউন্টে কী করে এল এত টাকা? সাধারণত, এত বিপুল অঙ্কের টাকা কারও অ্যাকাউন্টে জমা পড়লেই তা আয়কর দফতরের নজরে আসে। কিন্তু, এ ক্ষেত্রে তা-ও হয়নি। ব্যাঙ্কে গিয়ে সব কথা জানালেন। তবে শীতলের অভিযোগ, ‌কোনও আধিকারিকই নাকি তাঁর আবেদনে সাড়া দেননি। বরং, পরের দিন আসতে বলেই দায় ঝেড়েছেন তাঁরা। ওই আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, একমাত্র ব্যাঙ্ক ম্যানেজারই বিষয়টি শুধরে দিতে পারেন। শীতল জানিয়েছেন, এ ভাবে গোটা দিন দুই ব্যাঙ্কের দরজায় ঘুরলেও কোনও কাজের কাজ হয়নি।

শেষমেশ কোনও উপায় না দেখে এলাকার এক বাসিন্দার কাছে যান শীতলের স্বামী জিলেন্দর। স্থির করেন, ব্যাপারটা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে জানাবেন। সেই মতো জিলেন্দরকে গোটা বিষয়টির বয়ান লিখতে সাহায্য করেন ওই বাসিন্দা। গত ২৬ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ে তা ইমেল করেন জিলেন্দর। সংবাদমাধ্যমের কাছেও গোটা বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি। ব্যাঙ্কের পাসবই আর সেই এটিএম স্লিপ মিডিয়ার সামনে তুলে ধরে তাঁর প্রশ্ন, “যে অ্যাকাউন্টে ৫০ হাজারের বেশি টাকা জমা দেওয়া যায় না সেখানে ১০০ কোটি টাকা এল কোত্থেকে?”

অন্য বিষয়গুলি:

Banned Notes Bank Account 100 Crores
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE