Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
নির্দেশ মোদীর

কাজের সঙ্গে জোর কথাতেও

নিজের মন্ত্রকে বসে মুখ বুজে শুধু কাজ করে যাওয়া নয়, বরং সরকারের কাজ নিয়ে ঢাক পেটাতেও হবে সজোরে! দেশের মন্ত্রীদের এখন সেই দ্বিতীয় কাজটিরও পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। পরীক্ষক স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০১৫ ০৩:১০
Share: Save:

নিজের মন্ত্রকে বসে মুখ বুজে শুধু কাজ করে যাওয়া নয়, বরং সরকারের কাজ নিয়ে ঢাক পেটাতেও হবে সজোরে!

দেশের মন্ত্রীদের এখন সেই দ্বিতীয় কাজটিরও পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। পরীক্ষক স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি খতিয়ে দেখছেন, তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে কারা ঠিক ভাবে কাজ করেছেন। একই সঙ্গে বিরোধীদের থেকে ধেয়ে আসা তিরগুলির মোকাবিলা করতেও সফল হয়েছেন কোন মন্ত্রীরা।

সরকারের বর্ষপূর্তির আগেই মোদী তাঁর মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, ঘটা করে সরকারের কাজ পৌঁছে দিতে হবে মানুষের মধ্যে। একা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সেই দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়। বিরোধীরা যে সব ‘অপপ্রচার’ চালাচ্ছে, তার মোক্ষম জবাব দিতে হবে। একই সঙ্গে তুলে ধরতে হবে সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপগুলি। বিরোধী ও সংবাদমাধ্যমের তোলা প্রশ্নগুলিরও সঠিক জবাব দিতে হবে, যাতে কোনও সংশয় না থাকে। তার জন্য শুধু দিল্লিতে বসে নয়, মন্ত্রীদের দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে জনসভা কিংবা সাংবাদিক বৈঠক করে প্রচার করতে হবে।

সরকারের এক বছর পূর্তির পর এ বার প্রধানমন্ত্রী হিসেব কষছেন কোন কোন মন্ত্রী সেই কাজটি সফল ভাবে করতে পারলেন। সরকারি সূত্রের মতে, দু’সপ্তাহ ধরে মন্ত্রীরা যেখানে যেখানে সাংবাদিক সম্মেলন বা সমাবেশে অংশ নিয়েছেন, সেগুলির ভিডিও সংগ্রহ করা হয়েছে।

বিভিন্ন সংবাদপত্রে কী প্রকাশিত হয়েছে, জোগাড় করা হয়েছে তার ক্লিপিংও। সূত্রের খবর, তার ভিত্তিতে প্রাথমিক ভাবে দেখা গিয়েছে সরকারের কাজকে সঠিক ভাবে তুলে ধরার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। আর এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।

রাজনাথ শিবিরের অবশ্য বক্তব্য, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আগেই স্থির করেছিলেন কাউকে সাক্ষাৎকার দেবেন না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তিনি কয়েকটি রাজ্যে গিয়ে কিছু সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। কিন্তু রাজনাথ ঘনিষ্ঠ নেতারা বলছেন, গোড়ার দিকে তাঁকে সরকারের ‘নম্বর-টু’ বলা হলেও বাস্তবে তিনি সেই মর্যাদা পাচ্ছেন না।

তুলনায় অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে অরুণ জেটলিকে। এক বছর উপলক্ষে প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনটি করেন জেটলিই।

এ ছাড়া, প্রধানমন্ত্রীর কাছে যে রিপোর্ট গিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও রাজনাথ সিংহ জোরালো ভাবে পাল্টা যুক্তি তুলে ধরেননি। বরং হাসির ছলে এড়িয়ে গিয়েছেন। তুলনায় সুষমা স্বরাজ মোদীকে বড় করে তুলে ধরতে সমর্থ হয়েছেন। যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন।

মন্ত্রিসভায় রদবদল নিয়ে অনেক দিন ধরেই জল্পনা চলছে রাজধানীতে। প্রশ্ন হল, পরের রদবদলে এই মূল্যায়নের কতটা প্রভাব পড়বে ?

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE