Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
National

চ্যালেঞ্জ নিলাম, পাকিস্তানের প্রতি চড়া সুর মোদীর, লাইভ...

মোদী বললেন, এক সময় পূর্ব বঙ্গ আপনাদের অঙ্গ ছিল। আপনারা কিছুই সামলাতে পারেননি। আর এখন কাশ্মীরের কথা বলছেন! যা আপনাদের সঙ্গে আছে, সেটাই আগে সামলে দেখান।ভারত আর পাকিস্তান, দু’টি দেশ একই সঙ্গে স্বাধীন হয়েছে। আজ হিন্দুস্তান সফ্‌টওয়্যার এক্সপোর্ট করে আর পাকিস্তান টেররিস্ট এক্সপোর্ট করে।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৬:৪৭
Share: Save:

প্রধানমন্ত্রী প্রায় ৪০ মিনিট ভাষণ দিয়েছেন। মোদী বললেন, হিন্দুস্তানেও প্রসূতি মারা যায়। সদ্যোজাত শিশুও মারা যায়।পাকিস্তানেও মারা যায়। সেই মৃত্যু রোখার লড়াই করি। দেখি, কে জেতে? গরিবি হঠানোর লড়াইয়ে আমি নিশ্চিত, আমরাই আগে জিতব। হিন্দুস্তান এমন একটা দেশ হোক, যা যাবতীয় অন্যায় থেকে মুক্ত হবে। বেকারত্বের সমস্যা থেকে মুক্ত হবে। ন্যয়ের যুদ্ধে জিতবে। স্বাচ্ছ্যন্দের যুদ্ধে জিতবে। রোজগারির যুদ্ধে জিতবে। দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্ম শতবর্ষে সেই প্রতিজ্ঞাই করছি আমরা। পাকিস্তানের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে ভারতের প্রাধানমন্ত্রী বলেন, হিম্মত হো তো আও! যদি হিম্মত থাকে তো পাকিস্তান দেশ থেকে গরিবি হঠাক। দেখি কোন দেশ থেকে আগে গরিবি হঠে! পাকিস্তানের জওয়ান এসো দেখি কে আগে গরিবি হঠাতে পারে দেশ থেকে। অশিক্ষার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেখি কে আগে জেতে! হিন্দুস্তান নাকি পাকিস্তান? মোদী বললেন, এক সময় পূর্ব বঙ্গ আপনাদের অঙ্গ ছিল। আপনারা কিছুই সামলাতে পারেননি। আর এখন কাশ্মীরের কথা বলছেন! যা আপনাদের সঙ্গে আছে, সেটাই আগে সামলে দেখান।ভারত আর পাকিস্তান, দু’টি দেশ একই সঙ্গে স্বাধীন হয়েছে। আজ হিন্দুস্তান সফ্‌টওয়্যার এক্সপোর্ট করে আর পাকিস্তান টেররিস্ট এক্সপোর্ট করে। নরেন্দ্র মোদী বললেন, প্রতিবেশী দেশের রাজনৈতিক নেতাদের জোর গলায় কথা বলার শক্তি হারিয়ে গিয়েছে। তাঁরা জঙ্গিদের কথায় ওঠা-বসা করেন। আমি ওঁদের বলতে চাই, ১৯৪৭ সালের আগে আপনাদের পূর্ব পুরুষও এই হিন্দুস্তানের মাটিকেই প্রণাম করতেন। মোদী বললেন, উরিতে আমাদের প্রতিবেশী দেশ আমাদের ১৮ জন জওয়ানকে খতম করেছে। কয়েক মাসের মধ্যে মোট ১৭ বার এই দেশ আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। সীমান্ত পেরিয়ে তারা আমাদের দেশে বেশ কয়েক বার ঢুকেও পড়েছে। কিন্তু আমাদের সাহসী সেনারা তাদের সকলকেই উপযুক্ত জবাব দিয়েছে। শাস্তি দিয়েছে। ১১০ জন জঙ্গিকে খতম করে দিয়েছে। ওই ১৭ বার হামলার হাত থেকে আমাদের বাঁচিয়েছে আমাদের বীর সেনারা। দেশের মানুষকে বাঁচাতে গিয়ে তারা লড়েছে। আমাদের গর্ব এই সেনারা। জওয়ানদের শক্তিই দেশের মনোবল। এটাই আমাদের তাকত। আমাদের শক্তি। ওই ১৭টি হামলার ঘটনায় যদি সেনারা পাশে না থাকত, আমরা নিজেদের রক্ষা করতে পারতাম না। প্রধানমন্ত্রী বললেন, না হিন্দুস্তান ঝুকা হ্যয়, না হিন্দুস্তান ঝুকে গা। সন্ত্রাসবাদকে নিকেশ করেই ছাড়বে হিন্দুস্তান। মোদী বললেন, সন্ত্রাসবাদ মানবতার দুশমন। গোটা বিশ্বের মানবতাবাদীদের সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে জোট বেঁধে দাঁড়াতে হবে। মোদী বললেন, সন্ত্রাসবাদের চেহারাটা কেরলের মানুষ জানেন। সন্ত্রাসবাদীরা কেরলের মহিলাদের উঠিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। আমরা কূটনৈতিক ভাবে তাদের ফেরাতে পেরেছিলাম। প্রধানমন্ত্রী বললেন, এশিয়ার যেখানে যেখানে সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটছে তারা সকলেই একটি দেশের দিকে আঙুল তুলছে। তাকেই দোষী মানছে। আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি করছে। তা সে ভারতেই হোক বা বাংলাদেশে বা আফগানিস্তানে। মোদী বললেন, এই এশিয়ায় এমন একটি দেশ রয়েছে, যাদের জন্য গোটা এশিয়া রক্তাক্ত হয়ে উঠছে! সন্ত্রাসবাদ নিরীহ লোককে খুন করছে। এশিয়ার বিভিন্ন দেশে আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি করেছে। মোদী ঢুকলেন সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গে। নরেন্দ্র মোদী বললেন, ধীবর হোন বা মজদুর, কৃষক থেকে কারিগর সবাইকে নতুন ঠিকানা দিতে চায় বিজেপি সরকার। মোদী বললেন, সবকে সাথ, সবকা বিকাশ। এই ভাবনা নিয়েই গোটা বিশ্ব দ্রুত গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। মোদী বললেন, কেরল যাতে দেশের মধ্যে সবার সেরা রাজ্য হয়ে উঠতে পারে, তার জন্য বিজেপি সব সময় কেরলের মানুষের পাশে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী বললেন, আমি কেরলের বিজেপি নেতাদের বলতে চাই, আপনারা যে তপস্যা করেছেন, যে বলিদান দিয়েছেন নিজেদের, তা ব্যর্থ হবে না। কেরলেও বিজেপি ক্ষমতায় আসবে। এটা আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি। মোদী বললেন, কেরলের বিজেপি নেতারা অনেক লড়াই করেছেন। এখনও লড়াই করে চলেছেন। মোদী বললেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার গরিবের সরকার। আমরা মহাত্মা গাঁধী আর দীনদয়াল উপাধ্যায়ের ভাবাদর্শেই সরকার চালাচ্ছি। মোদী বললেন, আজ থেকে ৫০ বছর আগেও জনসঙ্ঘ পার্টি নিয়ে তোমন কোনও চর্চা হত না। আজ সেই পার্টিই দেশের ক্ষমতায়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত উরি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি মোদী। মোদী বললেন, আগের শতাব্দীটা চলত তিন মহাপুরুষের কথায়। মহাত্মা গাঁধী, দীনদয়াল উপাধ্যায় আর রাম মনোহর লোহিয়া মোদীর ভাষণে উঠে এল মহাত্মা গাঁধী, রাম মনোহর লোহিয়ার নামও মোদীর ভাষণেও উঠে এল দীনদয়াল উপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ মোদী বললেন, কেরলকে সবাই জানে ঈশ্বরের দেশ বলে। কিন্তু বাম শাসনে তা কার্যত শেষ হয়ে যাচ্ছে সভামঞ্চে পৌঁছে গিয়েছেন বিজেপি নেতা মুরলী মনোহর যোশী, পূর্বতন বিজেপি সভাপতি নিতিন গড়কড়ীও। সভায় বিপুল জনসমাগম জনতা অধীর প্রতীক্ষায়, প্রধানমন্ত্রী কী বলেন ভারতের জবাব নিয়ে জনতা অধীর প্রতীক্ষায়, প্রধানমন্ত্রী কী বলেন উরি হামলার ঘটনা নিয়ে মোদীর ভাষণে এখনও উঠে আসেনি পাকিস্তান। এখনও উঠে আসেনি উরি হামলার ঘটনা প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ অনুবাদ করে শোনানো হচ্ছে জনতাকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের মধ্যে মুহুর্মুহু হর্ষধ্বনি ভাষণ দিতে শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী সভামঞ্চে পৌঁছে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিও। অমিত শাহের ভাষণে বার বার উঠে এল দীনদয়াল উপাধ্যায়ের প্রসঙ্গও অমিত শাহের ভাষণে বার বার উঠে এল কেরল। বাম শাসনের অ্ত্যাচারের প্রসঙ্গ উরি নিয়ে একটি কথাও বললেন না বিজেপি সভাপতি ভাষণ দিতে শুরু করলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী সভামঞ্চে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিজেপি-র গোটা জাতীয় পরিষদই এখন কোজিকোড়ে উরি হামলার ঘটনার জবাব পাকিস্তানকে কী ভাবে দেবে ভারত, সম্ভবত তার ইঙ্গিত মিলতে চলেছে এ দিন প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে। সেই জবাবটা কি মেপেজুপে দেওয়া হবে? নাকি সেই জবাবটা হবে একেবারে সোজাসাপটা? আরও কড়া কোনও ‘দাওয়াই’ ইসলামাবাদকে দেওয়ার জন্য কি প্রস্তুত হচ্ছে ভারত? এ নিয়েই এখন দেশ জুড়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা, চলছে বিতর্ক। এমনকী, সমালোচনাও। এমনই এক পরিস্থিতিতে শনিবার কেরলের কোজিকোড়ে দলীয় জনসভায় ভাষণ দিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর দিকেই তাকিয়ে আছে গোটা দেশ। প্রকাশ্য সভায় কী বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী, সে দিকে নজর রেখেছে ইসলামাবাদও। শনিবার দিল্লিতে সেনাবাহিনীর তিন প্রধানের সঙ্গেও বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তাঁর নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালও। উরি হামলার পরে পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে কোণঠাসা করতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। কিন্তু দেশের ভিতরে উরি নিয়ে ক্রমশ চাপ বাড়ছে। পাকিস্তানকে শায়েস্তা করার দাবি উঠছে নানা মহল থেকে। উরি হামলার জবাব কী ভাবে দেওয়া হবে এবং দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয় তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে। উরি হামলার পর পরই প্রধানমন্ত্রী টুইট করে বলেছিলেন, “যারা এই হামলা চালিয়েছে তাদের কোনও ভাবেই ছেড়ে দেওয়া হবে না।” কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকরও কড়া বার্তা দেন। আন্তর্জাতিক মঞ্চে উরির হামলা নিয়ে পাকিস্তানকে কোণঠাসা করতে শুরু হয়ে যায় তত্পরতা। উরির হামলাকারী জঙ্গিদের কাছে যে সব জিনিস উদ্ধার হয়েছে, তাতে এই হামলায় পাক যোগের স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করে ভারত। ভারতের বিদেশসচিব এস জয়শঙ্কর পাক হাইকমিশনার আব্দুল বশিতকে তলব করে হামলায় পাক যোগের প্রমাণও দেখান। কিন্তু পাকিস্তান সরাসরি তা অস্বীকার করে। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ভারত যে ভাবে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। উরি হামলা নিয়ে শুক্রবারই বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব বলেছিলেন, “দাঁতের বদলে গোটা চোয়ালটাই খুলে নেওয়া হবে।” উরি নিয়ে ধেয়ে আসা প্রশ্নবাণের মুখে প্রবল অস্বস্তির মধ্যেও রাম মাধবকে দলের দুর্গ সামলাতে হয়েছে। তিনি বলেন, কূটনৈতিক স্তরে অনেক পদক্ষেপ হয়েছে এব‌ং আরও হবে। তবে পাকিস্তানকে জবাব দিতে কূটনীতি ছাড়া আর কোনও পদক্ষেপের হদিস দিতে পারেননি তিনি।

অন্য বিষয়গুলি:

Modi's Speech In Kozhikode Narendra Modi Kozhikode
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE