হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে হার্দিক। শুক্রবার। ছবি: পিটিআই।
দু’সপ্তাহ হয়ে গিয়েছে বাড়িতেই অনশন করছিলেন তিনি। যদিও পাতিদার সংরক্ষণ আন্দোলনের নেতা হার্দিক পটেলের ওজন কমার বদলে নাকি বেড়ে গিয়েছে!
এ খবর ছড়াতেই তড়িঘড়ি দায় চাপানো হয়েছে যন্ত্রের উপর। শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে জানিয়ে শুক্রবার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে হার্দিককে। যদিও হাসপাতালের বিছানায় শুয়েও তাঁর পিছু ছাড়ছে না ফেসবুক-ট্রোলিং।
গত ২৫ অগস্ট থেকে শিক্ষা, চাকরি ও কৃষিঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে পাতিদার সম্প্রদায়ের সংরক্ষণের দাবিতে অনির্দিষ্ট কালের জন্য অনশন নেমেছেন হার্দিক। বুধবার তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য গুজরাত সরকারকে ২৪ ঘণ্টা চূড়ান্ত সময়সীমা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে সাড়া না মেলায় বৃহস্পতিবার তিনি জল খাওয়াও বন্ধ করে দেন বলে জানায় তাঁর সংগঠন। এর পরেই হার্দিকের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে বলে দাবি করেছে তারা। কিন্তু এ সব কথায় হার্দিককে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিং থামছে না।
অনশন শুরুর আগে তাঁর ওজন ছিল ৭৮ কেজি। গত ৪ সেপ্টেম্বর আমদাবাদের সোলা সিভিল হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করে জানিয়েছিলেন, অনশনের জেরে ২০ কেজি ওজন কমে গিয়েছে। যন্ত্র ৫৮ কেজি দেখিয়েছে। হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ তখনই দিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। হার্দিক অবশ্য রাজি হননি। কিন্তু গত বুধবার যখন ফের ওজন মাপা হয়, দেখা যায় ৬৫ কেজি। দ্রুত খবর ছড়িয়ে পড়ে, হার্দিকের ওজন বেড়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ব্যঙ্গ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে একাধিক মিম। কথা উঠেছে, তা হলে নিশ্চয় আড়ালে খাওয়া-দাওয়া চালিয়ে যাচ্ছেন পাতিদার নেতা। না হলে তাঁর ওজন বেড়ে গেল কী করে!
পরিস্থিতি সামলাতে তড়িঘড়ি মাঠে নামে মেডিক্যাল টিম। তারা দাবি করেছে, ওজন মাপার যন্ত্রে গণ্ডগোল ছিল। যার জেরেই এই বিভ্রান্তি। চিকিৎসকদের বক্তব্য, হার্দিকের ওজন ২০ কেজি কমেনি, ১৩ কেজি মতো কমেছিল। সে বার ভুল দেখিয়েছিল। সোলা সিভিল হাসপাতালের চিকিৎসক প্রবীণ সোলাঙ্কি বলেন, ‘‘হার্দিকের ওজন বাড়েনি। বরং কমছে। শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে। তাই হাসপাতালে ভর্তি হতে বলা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy