ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আকবর।—নিজস্ব চিত্র।
সম্মতির ভিত্তিতে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল, এম জে আকবরের এই দাবি উড়িয়ে দিলেন আমেরিকান নিবাসী সাংবাদিক পল্লবী গগৈ। তাঁর বক্তব্য, এম জে আকবর তাঁর উপর জোর জবরদস্তি করেছিলেন এবং তা করেছিলেন সম্পাদক হিসাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করেই। পল্লবীর প্রশ্ন, যেখানে জোর থাকে, ক্ষমতার অপব্যবহার থাকে, সেখানে কি কখনও সম্মতিসূচক সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে?
শুক্রবার ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’ তাঁর একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়। সেখানে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন পল্লবী। কিন্তু অভিযোগ অস্বীকার করেন আকবর। তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল এবং দু’জনের সম্মতিতেই সবকিছু ঘটেছিল বলে পাল্টা দাবি করেন। তাতে পাশে পান স্ত্রীকেও। শুক্রবার রাতে টুইট করে তাঁদের সেই দাবি খারিজ করেন পল্লবী।
তিনি লেখেন, ‘‘কোথায় আমার এবং বাকি মহিলাদের প্রতি নিজের অপরাধ স্বীকার করবেন, তা নয় কুখ্যাত যৌন নির্যাতনকারীর মতোই আচরণ করছেন উনি। দু’পক্ষের সম্মতিতে সবকিছু ঘটেছিল বলে প্রমাণ করতে চাইছেন। জোর খাটিয়ে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে, তা কখনও সম্মতিসূচক হতে পারে না। এখনও পর্যন্ত যা বলেছি সব সত্য। লড়াই চালিয়ে যাব আমি, যাতে ওঁর হাতে নির্যাতিত অন্যরাও এগিয়ে আসতে পারেন।’’
My statement: pic.twitter.com/7xoADdIHoX
— Pallavi Gogoi (@pgogoi) November 2, 2018
নিজের টুইটার হ্যান্ডলে সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছেন পল্লবী
আরও পড়ুন: বাঙালিদের উপরে হামলা চালাতে পারে আলফা, সাত দিন আগেই সতর্ক করেছিল দিল্লি!
প্রায় দু’দশক আগে আকবরের তত্ত্বাবধানে ‘দ্য এশিয়ান এজ’ সংবাদপত্রে চাকরি করতেন পল্লবী। সেখানে আকবর বারবার তাঁর ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করেন এবং ধর্ষণ পর্যন্ত করেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তবে এম জে আকবরের দাবি, বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও পল্লবীর সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিলেন তিনি। দু’জনের সম্মতিতেই সবকিছু ঘটেছিল। পল্লবীর সঙ্গে স্বামীর সম্পর্কের কথা মেনে নিয়েছেন তাঁর স্ত্রী মল্লিকা আকবরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy