২৩ মাস সংঘর্ষের পরে, শনিবার প্রথম বার মেইতেইদের সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনায় বসতে চলেছে কুকিরা। বৈঠকের আগেই আজ মণিপুরের বিজেপির সাত মন্ত্রী-বিধায়ক উত্তর-পূর্ব নেডা জোটের আহ্বায়ক তথা অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার সাথে সাক্ষাৎ করেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন কে গোবিন্দাস সিংহ, কে ইবোমচা সিংহ, টি শান্তি সিংহ, এম রামেশ্বর সিংহ, টি শ্যামকুমার সিংহ এল সুশীন্দ্র প্রমুখ। আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে মুখ খোলেননি কেউ। তবে হিমন্তের সঙ্গে বৈঠক মণিপুরের শাসক শিবিরের মধ্যে সম্ভাব্য রাজনৈতিক পুনর্বিন্যাস বা কৌশলগত পরিকল্পনা সম্পর্কে জল্পনাকে উস্কে দিয়েছে।
এ দিকে, আগামী কালের বৈঠক নিয়ে উত্তেজনা রয়েছে দুই তরফেই। কেন্দ্রের মধ্যস্থতাকারী এ কে মিশ্র চূড়াচাঁদপুরে গিয়ে বৈঠক করা ও ইম্ফলে মেইতেইদের নেতাদের উপরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক চাপ বাড়ানোয় ২৩ মাস পরে বরফ গলেছে। কুকিদের তরফে জানানো হয়, কুকি-জ়ো কাউন্সিল বৈঠকে যোগ দেবে। সঙ্গে থাকবেন আরও কিছু কুকি সংগঠনের নেতারা। আলোচনার জন্য তিনটি পূর্বশর্ত আরোপ করেছে কুকিরা। সেগুলি হল, কুকি-জ়ো অধ্যুষিত এলাকায় মেইতেই ব্যক্তিদের চলাচল কঠোর ভাবে সীমাবদ্ধ থাকবে। কুকিরাও মেইতেই এলাকায় যাবেন না। আলোচনার সুবিধার্থে কমপক্ষে ছ’মাসের জন্য দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও শত্রুতা বন্ধ রাখতে হবে। সংঘর্ষবিরতি চলাকালীন সময়ে একটি আনুষ্ঠানিক এবং অর্থপূর্ণ সংলাপ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। শর্তগুলি পূরণে কেন্দ্র রাজি থাকলে তবেই শান্তি আলোচনা সম্ভব হবে।
মেইতেইদের পক্ষে কারা আলোচনায় থাকবেন- তা এখনও জানানো হয়নি। তবে, কুকিরা আলোচনার পূর্বশর্ত আরোপ করায় মেইতেই সংগঠনগুলি প্রতিবাদ জানিয়েছে। গত বছরও দুই তরফে আলোচনার চেষ্টা চলেছিল দিল্লিতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রচেষ্টা ভেস্তে যায়।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)