Meet Vipin Rao Yadav, an ex computer programmer, who now earns by growing flowers dgtl
National news
স্রেফ ট্রে আর টবে ফুল চাষ করে মাসে ৫০ হাজার আয় করেন এই কম্পিউটার প্রোগ্রামার!
হরিয়ানার সইদপুরে এক চাষি পরিবারের ছেলে। তাঁর নাম বিপিন রাও যাদব।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২০ ১০:৪৯
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৫
কাজের প্রতি যদি ভালবাসা তৈরি না হয়, তা হলে যত টাকাই মাইনে পান না কেন, সে কাজে উত্সাহ আসে না। রোজ জোর করেই শরীরটাকে টেনেহিঁচড়ে অফিসে নিয়ে যেতে হয়। কিন্তু যদি এমন সুযোগ সামনে আসে, যেখানে টাকাও আছে আর ভাললাগাও!
০২১৫
এমন সুযোগ কি কেউ হাতছাড়া করতে চাইবেন! না। যেমন চাননি হরিয়ানার সইদপুরে এক চাষি পরিবারের ছেলে। তাঁর নাম বিপিন রাও যাদব।
০৩১৫
বিপিন পেশায় একজন কম্পিউটার প্রোগ্রামার। কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক বিপিন একটি কোম্পানিতে চাকরি পেয়ে যান।
০৪১৫
বিপিনের বাবা চাষবাস করেই জীবিকা নির্বাহ করেন। তিনি প্রথম থেকেই স্থির করে ফেলেছিলেন, তাঁর দুই ছেলেকে কখনও এই কষ্টের পেশায় আনবেন না। তাঁরা দু’জনেই ভাল চাকরি করবেন।
০৫১৫
বিপিন এবং বিপিনের দাদা দু’জনেই বাবার স্বপ্ন দেখা পথেই এগিয়েছেন। তাঁর দাদাও বি টেক সম্পূর্ণ করে চাকরিতে ঢুকে গিয়েছেন।
০৬১৫
আর বিপিন ২০১৫ সালে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক হয়ে গুরুগ্রামের একটি কোম্পানিতে যোগ দেন। কিন্তু সেই চাকরি বিপিনের একেবারেই ভাল লাগত না।
০৭১৫
এক, বিপিন যে ভাবে জীবন কাটাতে চাইতেন, প্রাপ্য মাইনেতে তা সম্ভব ছিল না। দুই, তার উপর সেই কাজের প্রতি ভালবাসাও তৈরি হচ্ছিল না।
০৮১৫
এক বন্ধুর পরামর্শে বিপিন বাড়ির কাছের কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রে একটি প্রশিক্ষণে যোগ দেন। কী ভাবে লাভজনক উপায়ে কৃষিকাজ করা যায়, কী ভাবে প্রচুর জমি ছাড়াই চাষাবাদ করা যায়, এ রকম নানা বিষয়ে জ্ঞান লাভ করেন তিনি।
০৯১৫
সাহস এবং আত্মবিশ্মারের সঙ্গে গুরুগ্রামের চাকরি ছেড়ে চাষ করতে বাড়ি ফিরে আসেন বিপিন। বিপিনের এই সিদ্ধান্ত একেবারেই মানতে পারছিল না তাঁর পরিবার। গ্রামের লোকের কাছেও হাসির খোরাক হয়ে উঠেছিলেন তিনি।
১০১৫
কিন্তু সে সবে পাত্তা না দিয়ে নিজের জমানো দুই লক্ষ টাকা দিয়ে প্রথমেই চাষের প্রয়োজনীয় মালপত্র কিনে ফেলেন। বাবার জমি থেকে প্রথমে মাত্র ১০০ বর্গ ফুট জমিতে পলিহাউস তৈরি করে চাষ শুরু করেন।
১১১৫
প্রথমেই খুব লাভ হতে শুরু করে তা নয়। হাতেকলমে কাজ করতে গেলে অনেক ভুলভ্রান্তি হয়, আর তা থেকেই শেখা যায়। বিপিনের ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছিল।
১২১৫
মাটি ছাড়া কোকোপিট এবং আরও নানারকম উপকরণ দিয়ে টবেই চাষ করতে শুরু করেন তিনি। ২০১৬ সালে চাষ করা শুরু করেছিলেন বিপিন। তার দু’বছরের মধ্যেই আশাতীত ফল পান।
১৩১৫
নানা প্রজাতির ফুল, সব্জি সব কিছুই চাষ করতে শুরু করেন তিনি। আলাদা করে ১৮০০ বর্গ ফুটের জমি ভাড়া নিয়ে সেখানে পলিহাউস তৈরি করে চাষ করতে শুরু করেন।
১৪১৫
বর্তমানে তাঁর আড়াই হাজার ট্রে এবং টব রয়েছে। প্রতি মাসে প্রায় আড়াই লাখ ফুল ফোটান তিনি। মূলত ফুলের ব্যবসা তাঁর।
১৫১৫
বর্তমানে বিপিনের বয়স মাত্র ২০ বছর। এখনই তিনি মাসে আয় করেন অন্তত ৫০ হাজার টাকা। এই ব্যবসাকে আরও বড় করাই তাঁর উদ্দেশ্য এখন। তাঁর মতো তরুণরা অহেতুক চাকরির পিছনে না ছুটে চাষাবাদকেই আপন করে নিন, এটাই চান তিনি।