Meet Tushar Jain, The Co-founder Of rs 250 crore company dgtl
Tushar Jain
Tushar Jain: নিঃস্ব হয়েও ফের কোটিপতি, রাস্তায় রাস্তায় ব্যাগ বিক্রি করা তুষার এখন আড়াইশো কোটির সংস্থার মালিক
সাফল্যের শিখর থেকে শূন্যে নেমে আসার পর কী ভাবে শূন্য থেকে শুরু করে ফের শিখরে পৌঁছনো যায়, তা দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২১ ১২:২৭
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১০
হর্ষদ মেহতা শেয়ার কেলেঙ্কারির শিকার হয়েছিলেন তিনি। সর্বস্ব খুইয়ে একপ্রকার পথে বসেছিলেন। তার পর ফের একটু একটু করে সাফল্যের সিড়ি বেয়ে উপরে ওঠা শুরু করেন। নিঃস্ব থেকে কয়েকশো কোটি টাকার সংস্থার মালিক হয়ে উঠলেন।
০২১০
তিনি তুষার জৈন। ব্যর্থতা যেখানে বেশির ভাগ মানুষকে মানসিক ভাবে ভেঙে ফেলে, তাঁরা আর নতুন করে সাফল্যের সিড়ি বেয়ে উপরে ওঠার সাহস হারিয়ে ফেলেন, তুষার জৈন তাঁদের সামনে অনন্য নজির। সাফল্যের শিখর থেকে শূন্যে নেমে আসার পর কী ভাবে শূন্য থেকে শুরু করে ফের শিখরে পৌঁছনো যায়, তা দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি।
০৩১০
জীবনে বহু বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁকে। সমস্ত পেরিয়ে আজ তিনি আড়াইশো কোটি টাকার সংস্থার মালিক। কয়েক হাজার মানুষকে জীবনধারণের রসদ জুগিয়ে চলেছেন।
০৪১০
১৯৯২ সালে হর্ষদ মেহতার শেয়ার কেলেঙ্কারির শিকার হয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। তাঁদেরই এক জন ছিলেন ঝাড়খণ্ডের ব্যবসায়ী মুলচাঁদ জৈন। সব হারিয়ে পরিবার নিয়ে পথে বসেছিলেন তিনি। তাঁরই ছেলে তুষার।
০৫১০
এর পর ছেলের সঙ্গে মুম্বইয়ের রাস্তায় ব্যাগ বিক্রি করতে শুরু করেন। রাস্তায় রাস্তায় ব্যাগ বিক্রি করেই সংসার চালাতে শুরু করেন তিনি। ২০১২ সালে একটি সংস্থা গড়ে তোলেন তুষার।
০৬১০
তুষার এই সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা। বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ তৈরি করে থাকে সংস্থাটি। এই মুহূর্তে ভারতের চতুর্থ বৃহৎ ব্যাকপ্যাক এবং ব্যাগ বিক্রির সংস্থা এটি। মুম্বইয়ে আছে এর সদর দফতর। সারা দেশে বিভিন্ন জায়গায় মোট ১০টি আলাদা অফিস রয়েছে।
০৭১০
এর মাত্র দু’বছরের মধ্যে বছরে ১০ থেকে ২০ হাজার ব্যাগ তৈরি করতে শুরু করে সংস্থাটি। তখন বছরে মোট ব্যবসা ছিল ৯০ কোটি টাকার।
০৮১০
২০১৭ সাল নাগাদ সংস্থার মোট ব্যবসা গিয়ে পৌঁছয় ২৫০ কোটিতে। প্রতি বছর ৩০ থেকে ৩৫ হাজার ব্যাগ তৈরি করতে শুরু করে সংস্থাটি।
০৯১০
সাফল্যের সিড়িতে উঠে তুষারের সংস্থা ট্রাওয়ার্ল্ড লঞ্চ করে। বলি অভিনেত্রী সোনম কপূর যার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর।
১০১০
তুষারের লক্ষ্য আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে সংস্থাকে আরও বড় করে তোলা। সংস্থার টার্নওভার এক হাজার কোটি টাকায় নিয়ে যাওয়া। প্রতি বছর ২৫ লক্ষ ব্যাগ তৈরি করা।