—ফাইল চিত্র।
দেশের সংস্কৃতিকে মান্যতা দিতে গাঁজাকে বৈধ করার ডাক দিলেন পাতিয়ালার আপ সাংসদ ধর্মবীর গাঁধী। তাঁর সুরে সুর মেলালেন বিজেপির অভিনেতা সাংসদ বিনোদ খন্না এবং আরও কয়েক জন সাংসদ। বিষয়টি নিয়ে সংসদে একটি ব্যক্তিগত বিলও আনেছেন ধর্মবীর। আগামী ২০ নভেম্বর সংসদের অধিবেশনে এই বিলটি পেশ করবেন তিনি। গাঁধী-সহ ‘গাঁজাপন্থী’ সাংসদদের এই ব্যক্তিগত বিলটি এখন শুধু পাশ হওয়ার অপেক্ষা।
গাঁধীর মতে, গাঁজা খাওয়া কোনও অপরাধ নয়। আদি কাল থেকেই ভারতীয় সংস্কৃতিতে এর প্রচলন রয়েছে। এমনকী গাঁজার বৈধতা দেশে ড্রাগ মাফিয়াদের বাড়বাড়ন্তও কমাবে বলেও দাবি করেছেন তিনি। ধর্মবীর জানান, মাদকদ্রব্য বিষয়ক চলতি আইনে হেরোইন, কোকেইনের মতো মারাত্মক ক্ষতিকর মাদকের উপরই নিয়ন্ত্রণ আনতে জোর দেওয়া হয়েছে। উল্টো দিকে গাঁজা ভীষণই সফট্ ড্রাগ, তেমন ক্ষতিকারকও নয়। আইনি স্বীকৃতি পেলে দেশে এর চাষ করা যেতে পারে। বিনা বাধায় আমদানি-রফতানি করা যেতে পারে। অন্য দিকে, গাঁজা আইনি স্বীকৃতি পেলে দেশে অন্যান্য মাদকের ব্যবহারও কমবে।
ধর্মবীরের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেছেন বিজেপি সাংসদ বিনোদ খন্না এবং সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ নার্কোটিকস বিভাগের প্রাক্তন কমিশনার রমেশ ভট্টাচার্য। বিনোদ খন্না জানান, ৩৫ বছর আগে মাদক দ্রব্যের জন্য বিশেষ আইন আনা হয়েছে দেশে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ভারতকে মাদকমুক্ত করা সম্ভব হয়নি। উল্টে ড্রাগ মাফিয়াদের রমরমাও আগের থেকে অনেকটা বেড়েছে। আর প্রাক্তন কমিশনারের বক্তব্য, ২০০১ থেকে ২০১১ সালে পঞ্জাবে এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মাদক কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া ২৫ হাজার জনের মধ্যে মাত্র ১০ থেকে ৬০ জন ড্রাগ মাফিয়া। বাকিদের সবার কাছে সফট্ ড্রাগ উদ্ধার হয়। তাই গাঁধীর এই পদক্ষেপকে তিনি ‘খুবই ভাল পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: কাকে বেশি এনজয় করলেন, গণধর্ষিতাকে প্রশ্ন পুলিশের!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy