দুর্ঘটনাস্থলে ক্রেনের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে চলছে উদ্ধারকাজ। ছবি: পিটিআই।
নির্মাণস্থলে কর্মীদের মাথায় ভেঙে পড়ল ক্রেন। নীচে চাপা পড়ে অন্তত ১৭ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে ঠাণের একটি নির্মাণস্থলে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। ক্রেন ভেঙে পড়ে আহতও হয়েছেন বেশ কয়েক জন। ধ্বংসাবশেষের নীচে এখনও কেউ কেউ আটকে রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ।
মহারাষ্ট্রের ঠাণের সাহাপুর এলাকায় সম্রুদ্ধি এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের কাজ চলছিল। ভোরবেলা সেখানেই কাজ করছিলেন এক দল কর্মী। আচমকা উপর থেকে তাঁদের মাথায় ক্রেন ভেঙে পড়ে। সরাসরি ক্রেনের নীচে চাপা পড়ে যান অনেকে। ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়। তিন জন শ্রমিককে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আপাতত সেখানেই তাঁরা চিকিৎসাধীন।
পুলিশ জানিয়েছে, ক্রেনের ধ্বংসাবশেষের ভিতর এখনও অন্তত পাঁচ জন শ্রমিকের আটকে থাকার সম্ভাবনা আছে। ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে যত দ্রুত সম্ভব তাঁদের উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্রুদ্ধি এক্সপ্রেসওয়েতে কাজ চলাকালীন রাতে কর্মীরা একটি বিশেষ ধরনের ক্রেন মেশিন চালাচ্ছিলেন। এই ক্রেনের নাম ‘গার্ডার লঞ্চিং মেশিন’। এই ক্রেন সাধারণত রেল সেতু, সড়ক নির্মাণের কাজে ব্যবহৃত হয়। বড় বড় বহুতলের নীচে ভিত গঠনেও কাজে লাগে এই যন্ত্র। বিশাল আকৃতির ইস্পাতখণ্ড এক দিক থেকে অন্য দিকে নিয়ে যাওয়া এই যন্ত্রের কাজ।
সম্রুদ্ধি এক্সপ্রেসওয়ের তৃতীয় পর্যায়ের কাজ ভোরে শুরু করেছিলেন কর্মীরা। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই সেখানে পৌঁছে যায় পুলিশ এবং দমকল। জোরকদমে তারা উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।
সম্রুদ্ধি এক্সপ্রেসওয়ের আর এক নাম মুম্বই-নাগপুর এক্সপ্রেসওয়ে। ৭০১ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রাস্তা মুম্বই এবং নাগপুরকে যুক্ত করে। দুই শহরের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য রাস্তাটি গুরুত্বপূর্ণ। রাস্তা নির্মাণের কাজ চালাচ্ছে মহারাষ্ট্র সরকারের সড়ক উন্নয়ন কর্পোরেশন। গত ডিসেম্বরে এই রাস্তার প্রথম পর্যায়ের উদ্বোধন করে গিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy