দূর থেকে দেখলে মনে হবে একাধিক ইঁদুরের গর্ত। এই গর্ত খুঁড়তে খুঁড়তেই ক্রমশ ভিতরে ঢুকে যান গ্রামবাসীরা। সেখান থেকে কয়লা তুলে আনেন। শুক্রবারও সেই অবৈধ খনি থেকে কয়লা তুলে আনতে গিয়েছিলেন। কিন্তু আর ফিরতে পারেননি। গর্তের মধ্যে জল ভরে যাওয়ায় ১৩ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করছে পুলিশ। শুক্রবার মেঘালয়ের পূর্ব জয়ন্তিয়া পাহাড় জেলা এলাকায় একটি অবৈধ কয়লা খনিতে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
খনির পাশ দিয়ে একটি নদী বয়ে গিয়েছে, একেবারে পাশেই নদী থাকায় জলস্তর অনেকটাই উঁচু। ফলে কিছুটা মাটি খুঁড়লেই জল উঠে আসে খনিতে। খনির আকরিক নদীর জলে মিশে যাওয়ায় নদীর জলও দূষিত হয়ে পড়ে। সে কারণে ২০১৪ সাল থেকে জাতীয় পরিবেশ আদালত এই খনি অবৈধ ঘোষণা করে। কিন্তু তা সত্ত্বেও খনন আটকানো যায়নি। গ্রামবাসীরা খনন করার যন্ত্রপাতি নিয়ে এসে নিজেরাই ছোট ছোট মতো গর্ত (র্যাট হোল মাইনিং) করে আকরিক তোলেন। এ দিনও কয়েকজন মিলে খনন করতে গিয়েছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ভিতরে ঢোকার কিছু পর থেকেই খনির মুখ জলে ভরে যায়। তাঁরা আর ফিরতে পারেননি। প্রত্যক্ষদর্শীরাই পুলিশকে খবর দেন।
আরও পড়ুন: কাপড় সেলাই করে ‘২৮ কোটি’র সম্পত্তি! রত্নার বিপদ বাড়াচ্ছে শোভন-বৈশাখীর দেওয়া নথি
পূর্ব জয়ন্তিয়া পাহাড় জেলার পুলিশ সুপার বলেছেন, ‘‘কয়লা তুলতে গিয়ে ভিতরে আটকে পড়ার ঘটনা নতুন নয়। উদ্ধার কাজ চলছে। যে ১৩ জন ভিতরে আটকা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে, তাঁদের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা চলছে।’’
আরও পড়ুন: রাফাল চুক্তিতে গলদ নেই, কোনও তদন্ত নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট
সম্প্রতি এই এলাকায় যত্রতত্র অবৈধ খাদানের বিরুদ্ধে সরব হন সমাজকর্মী অ্যাগনেস খারশিং। তাঁকে গ্রামবাসীদের হামলার মুখেও পড়তে হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy