কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মণ্ডবীয়া। ফাইল চিত্র।
গত পাঁচ মাসের মধ্যে দেশে সর্বনিম্ন দৈনিক সংক্রমণ। সুস্থাতার হার ৯৭.৫১ শতাংশ, মার্চের পর থেকে যা সর্বাধিক। দৈনিক টিকাকরণের নয়া রেকর্ড গড়ে ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার প্রতিষেধক ৮৮.১৩ লক্ষ মানুষকে। সব মিলিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া এই করোনা-তথ্যে স্বস্তির শ্বাস ফেলছেন বিশেষজ্ঞেরা। এর ফলে ভারত সফরে কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল করল আমেরিকাও। ‘সেন্টার ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ ভারতে প্রবেশের জন্য স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সতর্কতার মাত্রা দু’ধাপ কমিয়েছে।
আজ করোনা-পরিস্থিতি নিয়ে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মণ্ডবীয়া। রাজ্যগুলির জন্য কোভিড মোকাবিলার ক্ষেত্রে প্রায় ১৩৫৩ কোটি টাকার বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করলেন তিনি। তাঁর সঙ্গেই অসমে পৌঁছায় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রতিনিধিদল। মনসুখ জানান, তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলা করার জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ ও অক্সিজেন মজুত করা, পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য প্যাকেজ বরাদ্দ করা হয়েছে।
দিল্লির স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, আজ রাজধানীতে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। আক্রান্ত ৩৮। পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় সম্প্রতি দিল্লি মেট্রো ও বাসে ১০০ শতাংশ আসনে যাত্রী নিয়ে চলার অনুমতি দিয়েছে অরবিন্দ কেজরীবাল সরকার ও বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আজ একটি আবেদন খারিজ করে দেয় দিল্লি হাই কোর্ট। আদালতের বক্তব্য, পরিস্থিতি যাচাই করে তবেই সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভিড় এড়াতে বাস বা মেট্রোয় কোনও যাত্রীকে দাঁড়িয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এর পরেও আবেদনকারীর আপত্তি থাকলে তিনি মেট্রো, বাস এড়িয়ে চলতে পারেন। এ দিকে, প্রায় চার মাস বন্ধ থাকার পরে উত্তর দিল্লির নৈনি লেকে বোটিং চালু করার অনুমতি দিয়েছে পর্যটন দফতর।
অন্য দিকে, আজ কেন্দ্রীয় সরকার কেরল হাই কোর্টকে জানিয়ে দিয়েছে, প্রতিষেধকের দু’টি ডোজ় নেওয়া থাকলে কেউ আর নতুন করে টিকা নিতে পারবেন না। সম্প্রতি কোভ্যাক্সিন নেওয়ার পরেও কোভিশিল্ড নিতে চেয়ে আবেদন জানিয়ে আদালতে গিয়েছিলেন কান্নুরের এক ব্যক্তি। তাঁর বক্তব্য, তিনি সৌদি আরবে কাজ করেন যেখানে ছাড়পত্র পায়নি কোভ্যাক্সিন। তাঁর মামলার প্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে কেন্দ্র।
কোভিড থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পরেও আজ প্রত্যেককে যক্ষ্মা পরীক্ষা করার আর্জি জানালেন কর্নাটকের স্বাস্থ্য মন্ত্রী কে সুধাকর। তাঁর বক্তব্য, রাজ্যে ২৮ লক্ষের বেশি মানুষ করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছে। যেহেতু করোনা ও যক্ষ্মা দুই রোগই ফুসফুসের ক্ষতি করে তাই সেরে উঠেই যক্ষ্মা পরীক্ষা করা আবশ্যিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy