মণিশঙ্কর আইয়ার। ছবি- সংগৃহীত।
গুজরাতে প্রথম দফার ভোটের আগে নিজেদের গোলেই বল ঢুকিয়ে ফেললেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা মণিশঙ্কর আইয়ার!
তাঁকে ‘নীচ আদমি’ (ছোট লোক) বলে প্রধানমন্ত্রীর হাতে মণি তুলে দিলেন জাতপাতের ‘হাতিয়ার’। আর সামনে ভোট বলে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে বিন্দুমাত্র দেরি করেননি প্রধানমন্ত্রী। নিজের রাজ্যে ভোট প্রচারে বৃহস্পতিবার দিনভর প্রধানমন্ত্রী সভায় সভায় বলেন, ‘‘ওঁরা আমাকে নীচ আদমি বলতে পারেন। আমি কিন্তু উঁচে (মহান) কাজই করে যাব।’’
এই দু’লাইনেই শেষ করেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এও বলেছেন, ‘‘আমি সমাজের দুর্বল অংশের মানুষ। গরিব, দলিত, উপজাতি আর ওবিসিদের মতো সমাজের দুর্বল অংশের মানুষের জন্য আমি জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত দেব।’’
আরও পড়ুন- কাল নমাজের পরেই ফুঁসে উঠুক প্যালেস্তাইন, আহ্বান হামাসের
আরও পড়ুন- জিতলেও গুজরাতে আসন কমছে বিজেপির, ইঙ্গিত সব সমীক্ষার
ভোটের দিনদুয়েক আগে গুজরাতের সভায় সভায় এ দিন প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলায় টনক নড়ে কংগ্রেস হাইকমান্ডের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে আঁচ করে কংগ্রেসের সহ সভাপতি রাহুল গাঁধী প্রধানমন্ত্রীর কাছে ওই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে বলেন মণিশঙ্করকে। পরে কংগ্রেস থেকে মণিশঙ্করকে সাসপেন্ডও করা হয়। শুরু হয়ে যায় বিরোধীদের কটাক্ষ, দশ জনপথের ‘মণি’ হয়ে উঠলেন রাহুলের ‘শনি’!
প্রচারে এ দিন মোদী বলেন, ‘‘এই ধরনের কথাবার্তা থেকেই স্পষ্ট, কংগ্রেস উচ্চ বর্ণের দল। এটা তো সেই মুঘলদের রীতি। কথায় কথায় যখন উঁচু আর নীচু জাতের বিচার করা হত।’’
উনুনের আগুনটা এ দিন আরও একটু উসকে দেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। গুজরাতে ভোটের প্রচারে। একটি সভায় অমিত শাহ বলেন, ‘‘শুধু নীচ আদমিই নয়, প্রধানমন্ত্রীজীকে (মোদী) যমরাজ, রাবণ, মৌত কা সওদাগর, হনুমান, ভাইরাস এমন অনেক কিছুই বলা হয়েছে গত তিন বছরে।’’
ভোটে গুজরাতের মানুষ এর জবাব দেবেন বলে জানিয়ে দিন প্রধানমন্ত্রী।
এর পর অবস্থা বেগতিক বুঝে এ দিন রাহুল বলেন, ‘‘বিজেপিও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অনেক অশ্রাব্য শব্দ ব্যবহার করেছে। কিন্তু কংগ্রেসের একটা আলাদা সংস্কৃতি আছে। ঐতিহ্য আছে। যে ভাবে আর যে ভাষায় প্রধানমন্ত্রীকে বিঁধেছেন মণিশঙ্কর আইয়ার, তাকে আমি সমর্থন করি না। কংগ্রেসও করে না। আমি চাই, কংগ্রেসও চায়, মণিশঙ্কর ক্ষমা চেয়ে নিন প্রধানমন্ত্রীর কাছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy