প্রতীকী ছবি।
মাঝেমধ্যেই তীব্র যন্ত্রণায় কঁকিয়ে উঠছে একরত্তিটি। মাকে এক মুহূর্ত কাছছাড়া করতে চাইছে না। শুধু একটাই কথা বলে চলেছে, ''হয় আমার চিকিৎসা করো, না হলে আমাকে মেরেই ফেলো।’’
এত দিন রীতিমতো যমে-মানুষে টানাটানি চলার পরে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মন্দসৌরে ধর্ষিতা সাত বছরের ওই শিশুকন্যা বিপন্মুক্ত। ধীরে ধীরে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে তার। পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাকে। তার জন্য বাইরের চিকিৎসকদের ডাকা হয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, শিশুটিকে এখন আধশক্ত খাবার দেওয়া হচ্ছে। অল্পস্বল্প কথাও বলতে পারছে সে।
তবে অন্য আশঙ্কা করছে পুলিশ। সন্দেহ, ধর্ষকদের থেকে এইচআইভি জীবাণু শিশুটির শরীরে এসে থাকতে পারে। ওই দুই অভিযুক্তের এইচআইভি পরীক্ষা করানো হবে।
অভিযোগ, গত মঙ্গলবার মিষ্টির লোভ দেখিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে বছর কুড়ির ইরফান ও তার সঙ্গীরা। এর পর ধর্ষণ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিশুটির গলা কেটে খুন করার চেষ্টা করে তারা। পরের দিন ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় শিশুটিকে পাওয়া যায় স্কুল থেকে ৭০০ মিটার দূরের একটি ঝোপে।
ওই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার পথে নামেন মন্দসৌরের কয়েক হাজার বাসিন্দা। তার পরেই অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ড চেয়ে সরব হন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান। ওই ঘটনার তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়েছে। রাজ্যের মহিলা ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী অর্চনা চিটনিস জানিয়েছেন, শিশুটির বাবার অ্যাকাউন্টে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। তার চিকিৎসা ও পড়াশোনার সব খরচ বহন করবে রাজ্য। আজ শিশুটির বাবা বলেন, ‘‘আমি কোনও ক্ষতিপূরণ চাই না, শুধু চাই যে, অভিযুক্তকে ফাঁসিতে ঝোলানো হোক।
এক অভিযুক্তের মায়ের যদিও দাবি, ‘‘আমার ছেলে নিরপরাধ। এই ঘটনার তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া হলে সত্যতা সামনে আসবে। আর তদন্তে যদি ওর অপরাধ প্রমাণিত হয়, তা হলে কঠোর ভাবে ওকে শাস্তি দেওয়া হোক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy