গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়ে প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকেই কৃষিঋণ মকুবের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কমল নাথ। কিন্তু কৃষকদের ক্ষতে সেটা যে সামান্য প্রলেপ মাত্র, তা ফের একবার সামনে চলে এল। পেঁয়াজ বিক্রি করে এত কম টাকা পেয়েছেন এক চাষি যে, সেই ধাক্কা আর সামলাতে পারেননি। বাজারের মধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল ওই চাষির। সরকারি সাহায্যের আর্জি জানিয়েছে শোকগ্রস্ত ওই কৃষক পরিবার।
মধ্যপ্রদেশে এ বছর রেকর্ড ফলন হয়েছে পেঁয়াজের। তার সুফল ঘরে তুলেছিলেন মন্দসৌরের কৃষক বেহরুলাল মালব্যও। দাম পড়ে গিয়েছে শুনেছিলেন। তবু সদ্য ওঠা ২৭ কুইন্টাল পেঁয়াজ নিয়ে স্থানীয় মন্দসৌর মান্ডিতে গিয়েছিলেন ধার-দেনা করে চাষ করা বেহরুলাল। বাজারে বিক্রির পর জানতে পারেন কিলো প্রতি পেঁয়াজের দাম মাত্র তিন টাকা ৭২ পয়সা। অর্থাৎএক কুইন্টালের দাম ৩৭২ টাকা। সেই হিসেবে ২৭ কুইন্টাল পেঁয়াজ বিক্রি করে দাম পান মাত্র ১০ হাজার ৪৪০ টাকা।
পাওনা টাকার পরিমাণ শুনেই বুকে প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হয় বছর চল্লিশের বেহরুলালের। বাজারের মধ্যেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। বেহরুলালের সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছেলে রবিও। রবি বলেন, ‘‘বিক্রির টাকা পাওয়ার কথা শুনেই বাবা লুটিয়ে পড়েন। সরকার আমাদের কিছু সাহায্য করুক। না হলে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারব না।’’ বেহরুলালের পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, পেঁয়াজের দাম পড়ে যাওয়ার পর মনমরা হয়ে থাকতেন তিনি।
আরও পড়ুন: অপহরণ, মারধর! জেলে বসেই ব্যবসায়ীর কোটি টাকার সম্পত্তি হাতালেন প্রাক্তন সাংসদ
আরও পড়ুন: অ্যাসিড হামলায় চোখ হারিয়েও জীবন যুদ্ধে সফল পঞ্জাবের এই যুবতী
মধ্যপ্রদেশের সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ এবং আদার চাষ হয় মালওয়া এলাকায়। ব্যাপক ফলনের জেরে এ বছর পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০০ টাকা কুইন্টাল। আর আদার দাম ১০০ থেকে ২০০ টাকা কুইন্টাল। ফলে ব্যাপক ফলন হওয়ার পরও মাথায় হাত অধিকাংশ কৃষকের।
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy