মুরগির মাংস বাড়িতে আনা নিয়ে বচসার জেরে খুন। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
যে বাড়িতে কোনও দিন মাছ-মাংস ঢোকে না, সেখানেই মুরগির মাংস আনতে চেয়েছিলেন যুবক। রাগের মাথায় তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করে ফেললেন দুই ভাই। তাঁদের কীর্তি গোপন করার চেষ্টা করলেন তাঁদের মা-ও! তবে শেষরক্ষা হয়নি। রহস্যের কিনারা করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের ভোপালের বৈরাগড় এলাকার। মৃতের নাম অংশুল যাদব (২২)। গত ৯ নভেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়। যুবকের মা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি পুলিশকে এবং চিকিৎসকদের ভুলপথে চালিত করার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে খবর, যুবকেরা তিন ভাই। অংশুলকে তাঁর বাকি দুই ভাই মিলে হত্যা করেছেন বলে তদন্তের মাধ্যমে জানা গিয়েছে। তাঁদের দু’জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সেই সঙ্গে তাঁদের মায়ের বিরুদ্ধেও সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই পরিবার বিদিশা জেলার খেরি এলাকার বাসিন্দা। সেখান তাঁদের চাষের জমিও রয়েছে। বাড়িতে সকলে নিরামিষ খেতে অভ্যস্ত। ৯ নভেম্বর একটি অনুষ্ঠান উপলক্ষে অংশুল বাড়িতে মুরগির মাংস কিনে এনে পার্টি করার প্রস্তাব দেন। তাতেই রেগে যান তাঁর অপর দুই ভাই। তিন জনেই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। জোর করে অংশুল মাংস কিনে এনেছিলেন বাড়িতে। তার পরেই তিন ভাইয়ের মধ্যে বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, একটি মোটা দড়ি অংশুলের গলায় বেঁধে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন বাকি দু’জন। তাঁদের মায়ের সামনেই এই ঘটনা ঘটে।
বৈরাগড় থানার ইনচার্জ কমলজিৎ রানধাওয়া জানিয়েছেন, যে দড়ি দিয়ে যুবককে খুন করা হয়েছিল, সেই দড়িটি লুকিয়ে রেখেছিলেন তাঁর মা। বাকি দুই ছেলেকে বাঁচাতে তিনি গল্প ফেঁদেছিলেন। রাতেই যুবককে নিয়ে হাসপাতালে যান তিনি। জানান, তাঁর পুত্র বাইরে থেকে ঘুরে এসে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর গলায় দড়ির দাগ দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। তার পরেও তাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিলেন মহিলা, অভিযোগ তদন্তকারীদের। পরে পুলিশ রহস্যের কিনারা করেছে।
তিন ভাই প্রায়ই মদ খেয়ে বাড়িতে ঢুকতেন এবং নিজেদের মধ্যে অশান্তি করতেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy